লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। তামিম ইকবাল আর লিটন দাসের জুটিতে সেটা খুব সহজ বলে মনেও হচ্ছিল। তবে ২০ রানের ব্যবধানে এরপর লিটন, আফিফ হোসেন, আর মোসাদ্দেক হোসেনের তিন উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ বেশ বিপদেই পড়ে গেছে। একটু এদিক ওদিক হলেই যে ম্যাচ আর হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনাটা বেরিয়ে যাবে হাত ফসকে!

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে নামিয়ে বেঁধে রাখে ১৭৮ রানেই। উইকেট যত বিরূপই হোক, এই রানের লক্ষ্য তো মামুলিই। 

তবে সেই মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই শুরুতে নাজমুল হোসেন শান্ত বিদায় নেন। তবে এরপর তামিম ইকবাল আর লিটন দাসের ৫০ রানের জুটিতে সে ধাক্কাটা সামাল দেয় বাংলাদেশ। দলীয় ৭০ রানে গুদাকেশ মটিকে সুইপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে থাকা আকিল হোসেইনের হাতে ক্যাচ দেন তামিম।

এরপরও লক্ষ্যটাকে খুব বড় বলে মনে হয়নি, লিটন এমন সাবলীল ব্যাটিংই করছিলেন। ৬৫ বলে তিনি তুলে নেন ৫০ রানও। তবে এরপরই লিটন বিদায় নেন মটিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে।

বিপত্তির শুরুটা সেখানেই। তিন বলের ব্যবধানে আফিফ ফেরেন সাজঘরে। এরপর মোসাদ্দেক এসে সময় নিয়েছেন থিতু হতে। তবে যখনই তিনি এক ছক্কা আর এক চার মেরে হাত খোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন, মটি আবারও আঘাত হানেন বাংলাদেশ শিবিরে। 

দলীয় ১১৬ রানে মটির বলে জেইডেন সিলসকে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক। যার ফলে ২০ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় তিন উইকেট। সব মিলিয়ে ১১৬ রানেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। জয় থেকে ৬৩ রান দূরে থেকে এমন হুড়মুড়িয়ে ব্যাটসম্যানদের বিদায় কিছুটা বিপদেই ফেলে দিয়েছে সফরকারীদের।

এনইউ