টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর মাঠে গড়াতে আর মাত্র তিন মাসের অপেক্ষা। অথচ এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের অবস্থা একেবারেই নাজুক। কিছুতেই সাফল্য দেখা দিচ্ছে না। এজন্য আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নাম। অনেকেই মনে করছেন জুতসই নেতৃত্বের অভাবে ভুগছে দল, এখনই মাহমুদউল্লাহকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর সময় এসেছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও এনিয়ে চলছে চাপা ক্ষোভ। অনেকেই মাহমুদউল্লাহকে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব আনার পক্ষে। তবে নিজে থেকে এখনি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না বিসিবি। উইন্ডিজ থেকে সিরিজ শেষ আগামী ২০ অথবা ২১ জুলাই দেশে ফিরবেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর তার সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে চায় বোর্ড।

আরও পড়ুন >> মধ্যরাতে পাপনকে ফোন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী

আজ রোববার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলছিলেন, ‘আমাদের মাঝে অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে হঠাৎ করে একটা পরিবর্তন করলেই যে আহামরি ফল আসবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। এটাও আমাদের লম্বা সময়ের জন্য চিন্তা করতে হবে। হুট করে বলা (নেতৃত্ব পরিবর্তন) মুশকিল। তবে যাই করি না কেন অবশ্যই আলাপ করে করতে হবে।’

যোগ করেন পাপন, ‘আমার ধারণা এ সিদ্ধান্তটা নিতে আমাদের অন্তত এই মাস চলে যাবে। আমরা আসলে বসতে হবে। অধিনায়ক ও কোচের সাথে বসে আলাপ তো করতে হবে। ওরা কি বলে। ওদের কথাতো জানতে হবে, কি হয়েছে।’

আরও পড়ুন >> বিপিএলের আগামী ৩ আসরের সূচি চূড়ান্ত করেছে বিসিবি

মাহমুদউল্লাহর অধীনে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের জয় মাত্র একটিতে। সবমিলিয়ে ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জেতাতে পারেননি ১৬ ম্যাচের বেশি। অধিনায়ত্ব পাওয়ার পর ব্যাট হাতেও পারফরম্যান্সে অনুজ্জ্বল মাহমুদউল্লাহর। সঙ্গে ব্যাট হাতে তার ক্যারিয়ার গড় যেখানে ২৩.৪৮, সেখানে অধিনায়কত্ব করেছেন এমন সময়ে গড় নেমে এসেছে ২৩ এ ঠেকেছে।

সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে তার ৩০ পেরোনো ইনিংস কেবল একটি, ২০ পেরোনো ইনিংসও সাকূল্যে ২টি। উইন্ডিজ সফরে ৩ ম্যাচে করতে পেরেছেন ৪১ রানের বেশি।

টিআইএস/এটি/এইচএমএ