ছবি: বিসিবি/রতন গোমেজ

বাংলাদেশ দল করোনা সংক্রমণের পর ক্রিকেটে ফিরেছে বটে, তবে এখনো বিদেশ সফর করেনি। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথমবার আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়বে টাইগাররা। মিশন নিউজিল্যান্ড। এই সফরে প্রতিপক্ষের সঙ্গে কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া নিয়ে বাড়তি ভাবনা বাংলাদেশ দলের। এজন্য প্রথম ১৪ দিন গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক জালাল ইউনুস।

দ্য নিউ নরমালের সঙ্গে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব। করোনার মধ্যে ক্রিকেট খেলুড়ে প্রথম সারির দলগুলোর প্রায় প্রতিটি দেশই বিদেশ সফর করেছে, ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। বাইশ গজের লড়াইয়ে এখনো ঘরের বাইরে পা রাখেনি তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা। সমান ৩ ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় দেশ ছাড়ার কথা আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া বরাবরই বাংলাদেশ দলের প্রতিকূলে। কিউইদের বিপক্ষে ওদের মাঠে খেলতে নেমে এখনো জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। এবার তো বাড়তি চিন্তা যোগ হচ্ছে সফরকারীদের। নিউজিল্যান্ড সরকারের কড়া নির্দেশনা মেনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বাংলাদেশ দলকে। যেখানে ৭ দিন ঘরবন্দি কোয়ারেন্টাইন, বাকি সাত দিন শুধুই অনুশীলনের সুযোগ মিলবে।

প্রতিপক্ষের সঙ্গে কোয়ারেন্টাইনের এই ১৪ দিন নিয়ে বাড়তি ভাবনা বাংলাদেশ দলের। এ প্রসঙ্গে মিরপুরে বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন ভালো না খারাপ সেটা বলতে পারবো না। যখন খেলতে যাচ্ছি, খেলার জন্যই যাচ্ছি। আপনি ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে খেলবেন, এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে সাতদিন রুম কোয়ারেন্টাইন। এইটা নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত আছি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের সাথে ডাক্তাররা আছেন। যারা রুমে থাকবেন তাদের প্রতিনিয়ত খবর নেওয়া হবে, তারা কেমন অনুভব করছেন। আমাদের প্রধান চিকিৎসক (দেবাশিষ চৌধুরী) ছাড়াও ফিজিও আছেন। মূলত খেলোয়াড়দের বুস্টআপ করার জন্যই ডাক্তার দেবাশীষ সঙ্গে থাকবেন। অবশ্যই মানসিক চাপের একটা সিরিজ হবে। আশা করি অবশ্যই অনুশীলন সেশনে আমরা নামলে এসব দূর হয়ে যাবে। কারণ ১৪ দিন পর আপনি মুক্ত, আপনাকে এখানে মাস্ক পরতে হবে না।’

টিআইএস