উইন্ডিজ সিরিজের আগে অধিনায়কত্ব হারিয়েছিলেন। এর আগে থেকেই অবশ্য দলে তার পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছিল একটু একটু করে। শেষমেশ অধিনায়কত্ব হারানোর একটা ম্যাচ পর দলে জায়গাটাও হারিয়ে বসলেন মুমিনুল হোক। তবে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, তাকে ‘এ’ দলের উইন্ডিজ সফরে পাঠানো হবে। যদিও ‘এ’ দলের স্কোয়াডে তিনি থেকে যান ব্রাত্যই।

ধারণা করা হচ্ছিল, ‘এ’ দলের স্কোয়াড থেকেও বুঝি ‘বাদই’ পড়েছেন তিনি। তবে নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক জানালেন, তেমন কিছু নয় মোটেও, বাজে ফর্মের সঙ্গে যুঝতে থাকা মুমিনুলকে নেহায়েতই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এবার।

আজ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘একটা অল্প সময়ের জন্য অফফর্মে আছে মুমিনুল। ওকে এখানে বিবেচনা করা – না করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি মনে করি তাকে পুরোপুরি বিশ্রামে রাখা হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেট এমনিতেই কঠিন, মুমিনুল বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, আবার সে অধিনায়কও (ছিল)। তো মাঝে মাঝে মানুষের ছোট বিরতি দরকার হয়ই।’

ছোট্ট বিরতি দিয়ে আরও চনমনে মুমিনুলকেই ফেরত পাওয়ার আশা করছেন রাজ্জাক। বললেন,  ‘এটা মানসিক রিফ্রেশ, ফিজিক্যালি, পারফরম্যান্স ভালো করে ফিরুক এজন্য। আমি শুনেছি যে তাহলে মুমিনুলকে কি এ দলেও জায়গা দেয়া হবে না…না এটা এমন না। মুমিনুলকে বিবেচনা না, এটা ওকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। খুব চাপে ছিল সে।

বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাক গায়ে চড়িয়ে মুমিনুল খেলেছেন ৫৪ ম্যাচ। ১০০ ইনিংস খেলে তিনি করেছেন ৩৫২৯ রান। ১১ সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিনি করেছেন ১৫টি অর্ধশতক। গড় যেখানে ৩৭.৫৪। যদিও শেষ কিছু দিনে তার ব্যাটে রান নেই একেবারেই। তবে রাজ্জাকের বিশ্বাস, বাংলাদেশের সদ্য সাবেক টেস্ট অধিনায়ক শিগগিরই চেনা রূপে ফিরতে পারবেন। মূলত সে লক্ষ্যেই এই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাকে। 

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই নির্বাচকের ভাষ্য, ‘মুমিনুলের এমন কোন বয়স হয়ে যায়নি যে আর ফিরতে পারবে না। এমন না। এটা একদমই বিশ্রাম।’

এনইউ