অমিত সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলে সুযোগ পান বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। তবে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। অনেক সুযোগ পেয়েও নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় ছিটকে গেছেন দল থেকে। এই ছিটকে যাওয়ার তালিকা বেশ লম্বা। সাব্বির রহমান, নাসির হোসেনরা তো লোকচক্ষুর আড়ালেই চলে গেছেন। সৌম্য লড়ছেন নিজেকে প্রমাণ করার মিশনে।

শনিবার মিরপুরের অ্যাকাডেমি মাঠের নেটে অনুশীলন করেন সৌম্য। সেখানে ডেকেছিলেন ক্রিকেটারদের দুঃসময়ে সবসময় পাশে থাকেন যিনি, সেই ক্রিকেট গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে সৌম্যর ব্যাটিংয়ের ভুলগুলো ধরিয়ে দেন ফাহিম। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ছিটকে যাওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় ব্যাটসম্যানদের আধিক্য কেন।

ক্রিকেট খেলা ল্যাবরেটরিতে শেখা সম্ভব নয় মন্তব্য করে ফাহিম বলছিলেন, ‘ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যেটা ল্যাবরেটরিতে শেখা সম্ভব না। বিশেষ করে ব্যাটিংটা জিনিসটা ল্যাবরেটরিতে শেখা সম্ভব না। ট্রেনিং দিয়ে হয় না। ওটা পারফর্ম করে করেই নিজের সেই আত্নবিশ্বাসটা জাগাতে হয়। নিজের টেকনিকটা পরিশুদ্ধ করতে হয়।’ 

সঙ্গে যোগ করেন ফাহিম, ‘আমার মনে হয়, আমাদের খেলোয়াড়রা যেভাবে বেড়ে উঠে, যে মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসে ওরা পরিবর্তন নিয়ে আসে। ওরা ভাবে, এখানে বোধ হয় আমাকে অন্য কিছু করতে হবে। যেটাতে তারা এত বছর অভ্যস্ত সেখান থেকে বের হয়ে এসে নতুন কিছু করাটা কিন্তু সহজ না। আমার মনে হয় এই কারণেই অনেকে অনেক ব্যাপারে আটকে যায়।’

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা বা সফলতা অনেকাংশে কোচদের দার্শনিকতার ওপর নির্ভর করে বলে মনে করেন ফাহিম। উদাহরণ হিসেবে দাড় করালেন তামিম ইকবালকে।

ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘অনেক সময় কোচদেরও খেলার দার্শনিকতা আলাদা থাকে। আমরা তামিম ইকবালের উদাহরণ দিতে পারি। তামিম ইকবালকে সবসময় দেখে এসেছি, যখন বয়স কম ছিল, খুব আগ্রাসী ব্যাটিং করত। কিন্তু আস্তে আস্তে ওর মানসিকতার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে, খেলার ধাঁচটাই কিন্তু বদলে গেছে৷ সেটা কিন্তু কোচদের কারণেই। কারণ কোচদের দর্শন আলাদা।’

টিআইএস/এটি/এইচএমএ