বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্যটা এনে দিয়েছিলেন তিনি। তবে নাসুম আহমেদ নিজের দ্বিতীয় ওভারে রীতিমতো তুলোধুনো হলেন রায়ান বার্লের কাছে। এক ওভারে হজম করলেন ৫ ছক্কা, দিলেন ৩৪ রান। তাতে বড় রানের দিশা ফিরে পেয়েছে জিম্বাবুয়েও।

মঙ্গলবার হারারেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে দশ ওভারে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ রীতিমতো উড়ছিল। এরপর মুস্তাফিজুর রহমান এসে তুলে নিয়েছিলেন আরও এক উইকেট। ৬৭ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে জিম্বাবুয়ে ছিল ১০০ রানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়। 

উইকেটে তখন ছিলেন বার্ল আর জংওয়ে। ইনিংসের ১৫তম ওভারে বোলিংয়ে আসা নাসুম আক্রমণের মুখে পড়েন বার্লের। প্রথম চার বলে হজম করেন চার ছক্কা। তাতে শঙ্কা জেগেছিল ছয় ছক্কা হজমের। পঞ্চম বলটা বার্ল হাঁকিয়েওছিলেন সপাটে, তবে তা গিয়ে বাউন্ডারির একটু সামনে পড়ে, অন্তত ৩৬ রান হজমের লজ্জা থেকে রক্ষা মেলে নাসুমের। 

শেষ বলে আবারও ছক্কা হজম করে বসেন নাসুম। তাতেই ভুলে যাওয়ার মতো এক রেকর্ড গড়ে বসেন তিনি। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান হজমের রেকর্ডটা এতদিন ছিল সাইফউদ্দিনের। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার তার এক ওভারে তোলেন ৩১ রান। 

পরের রেকর্ডটা ছিল সাকিব আল হাসানের, তাও একবার নয়, দুই বার গড়েছিলেন এই রেকর্ড। ২০১৯ সালে এই রায়ান বার্লের কাছেই ৩টি করে ছক্কা আর চার হজম করেছিলেন তিনি। গেল বছর অস্ট্রেলিয়ার ড্যান ক্রিশ্চিয়ান এক ওভারে ৫ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন সাকিবের। 

এক ওভারে ৩১ রান দেওয়ার রেকর্ডটা আজ ছাড়ালেন নাসুম। এক ওভারে দিলেন ৩৪ রান। তাতে বিস্মরণযোগ্য রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন তিনি। 

এনইউ/এটি