আগের দিনই বোলারদের নৈপুণ্যে দারুণ এক জয় পায় উইন্ডিজ। তবে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। মঙ্গলবার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও সূর্যকুমার যাদবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটের পরাজয় ক্যারিবীয়দের। এই ম্যাচ জিতে ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছে ভারত। এটি ওয়ার্নার পার্কে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার দেড়শর বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল উইন্ডিজের, ১৪৬ রান তাড়া করে জিতেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় উইন্ডিজ। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৪৫ রান তোলে কোনো উইকেট না হারিয়ে। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৭ রান জমা করেন দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও কাইল মায়ার্স। সমান ২০ বলে ২০ রান করে কিং হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হলে ভাঙে তাদের এই পার্টনারশিপ। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের সঙ্গে মায়ার্সের ৫০ রানের জুটি। পুরান ২৩ বলে ২২ করে ফিরলেও অর্ধশতক তুলে নেন মায়ার্স।

তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ১২৮ রানে যখন মায়ার্স আউট হন তখন, ৫০ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ রান লেখা হয়েছে তার নামের পাশে। যেখানে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিকে রভম্যান পাওয়েলের ১৪ বলে ২৩ ও শিমরান হেটমায়ারের ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৬৪ রানের পুঁজি পায় উইন্ডিজ। ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর ২টি এবং হার্দিক ও আর্শাদ্বীপ সিং ১টি করে উইকেট নেন।

১৬৫ রান টপকাতে নেমে সূর্যকুমারের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৬ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ভারত। এতে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।

রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বড় এক ধাক্কা খায় ভারত। আলজারি জোসেফকে ছক্কা-চার মারার পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা মাঠ ছাড়েন পিঠের ব্যথা নিয়ে। পরে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, চিকিৎসক দলের পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তবে জয়ের সুর গাঁথতে বেগ পেতে হয়নি তাদের। সূর্যকুমার দলকে কক্ষপথে রাখেন শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তিনি ৩ ছক্কা ও ৬ চারে পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন স্রেফ ২৬ বলে। 

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর জোসেফকে আরেকটি ছক্কা মারেন চোখ ধাঁধানো এক শটে। এতে ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ভারত তুলে ফেলে ৯৬ রান। পরে ইনিংসের ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে ২৭ বল খেলা আইয়ার স্টাম্পিংয়ের ফাদে পড়ে ফেরেন ২৪ রান করে। এতে ভাঙে ৫৯ বলে ৮৬ রানের পার্টনারশিপ। 

সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে থামেন সূর্যকুমার। ডমিনিক ড্রেকসের অফ স্টাম্পের বাইরের বল লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ততক্ষণে জয়ে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে সফরকারীরা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৪ বলে ৭৬ রান করে ফেরেন সূর্যকুমার। যেখানে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। পরে পান্ডিয়া ৬ বলে ৪ রান করে ফিরে গেলেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি ভারতের। রিশভ পান্ট ২৬ বলে ৩৩ ও দীপক হুদা ৭ বলে ১০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ৭ উইকেটে জয়ে এনে দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন।

টিআইএস