টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজও জিম্বাবুয়ের কাছে হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। দুই সিরিজেই ব্যাট-বল হাতে বাংলাদেশকে তুলোধুনো করেছেন দেশটির পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। অথচ বছর খানেক আগে কী ঝড়ই না বয়ে গেল তার জীবনের ওপর দিয়ে!
 
২০২১ সালে হঠাৎ সিকান্দার রাজার বোন ম্যারোতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এক পর্যায়ে সেই সংক্রমণকে ক্যান্সার মনে করা হচ্ছিল। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, সেই সংক্রমণ ক্যান্সারের দিকে যায়নি। গত বছরের এপ্রিলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমার অপসারণ করে বড় কোনো অসুস্থতার হাত থেকে মুক্তি পান এই ক্রিকেটার।
 
জীবনের সেই অধ্যায়কে পেছনে ফেলে সিকান্দার রাজা আবার মাঠে ফিরেছেন। রাজসিক ভঙ্গিতে খাপখোলা তলোয়ারের মতো ব্যাট চালাচ্ছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অর্ধশত রানের দুটি ইনিংস খেলেছিলেন রাজা। ওয়ানডে সিরিজে টানা দুই ম্যাচে পেয়েছেন শতকের দেখা।
 
অস্ত্রোপচারের ফলে বোলিং অ্যাকশনে আনতে হয়েছে পরিবর্তন, তবুও রাজার স্পিনের ধার কমেনি মোটেই। বোলিং অ্যাকশনে বদল আনার ক্ষেত্রে উইন্ডিজ স্পিনার সুনীল নারাইনের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন রাজা, ‘অস্ত্রোপচারের পর আমি আগের অ্যাকশনে বল করতে পারছিলাম না। কাঁধের বেশকিছু চোটের কারণে কিছুটা শক্তিও কমে গিয়েছিল। আমার সৌভাগ্য যে আমি সিপিএলে (ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) সুনীল নারাইনের সঙ্গে ছিলাম এবং তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি।’
 
অ্যাকশনে  পরিবর্তন আনার ফলে তার উপকার হয়েছে বলে জানালেন তিনি, ‘আগের অ্যাকশনে ব্যাটসম্যানরা আমার স্পিন ভ্যারিয়েশন দেখতে পারতেন। তবে আমার নিজের কাছে মনে হয়, নতুন অ্যাকশন বুঝতে ব্যাটসম্যানদের বেগ পেতে হয়। আমি টানা একই জায়গায় বল করে যেতে চাই, এমনটা করতে পারলে আমার বোলিং আরও কার্যকর হবে। এই অ্যাকশনে আমার ইকোনমি রেটও অনেক কম, সাদা বলে ক্রিকেটে যা জরুরি। এটা আমার জন্য ভালো।’

রোগ থেকে সেরে উঠলেও এখনো চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে জানালেন রাজা, ‘আমি শতভাগ শঙ্কামুক্ত। মূলত চিকিৎসকরা আমাকে দুই বছর পর্যবেক্ষণে রাখছেন। বোন ম্যারোতে যে সমস্যা ছিল সেটা যাতে আবার ফিরে না আসে সেজন্য প্রয়োজন হলে আমাকে রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে এবং এমআরআই করাতে হয়।’
 
এইচএমএ/এটি