জিম্বাবুয়ে সফরের শুরুতে স্কোয়াডে ছিলেন না এবাদত হোসেন। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর পর দুই পেসার ইনজুরি আক্রান্ত হলে তড়িঘড়ি করে উড়িয়ে নেওয়া হয় তাকে। আজ বুধবার (১০ আগস্ট) সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডের একাদশে সুযোগ পান এই ডানহাতি পেসার। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে উইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকলেও সুযোগ মেলেনি। আজ অভিষেক ক্যাপ মাথায় তোলেন এবাদত।

নিজে অধিনায়ক হলেও তামিম ইকবাল অবাক হয়েছেন, এবাদত কেন এর আগে একাদশে সুযোগ পাননি ভেবে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষ নিজের অভিষেক ম্যাচে ৮ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া এই পেসারকে প্রশংসা বন্যায় ভাসান তামিম।

আরও পড়ুন >> দাপুটে জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল বাংলাদেশ

তামিম বলছিলেন, ‘এবাদত অনেক দিন ধরে দলের সঙ্গে আছে। একাদশে তাকে না দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। তাকে তো অনেক দিন ধরেই দলের সাথে রাখা হচ্ছে। আজ তার সামর্থ্য প্রমাণের জন্য যথার্থ সুযোগ ছিল। শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছে।’

টি-টোয়েন্টি পর ওয়ানডে সিরিজ হার। আজ তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ধবলধোলাই এড়াতে মাঠে নেমে টাইগাররা। এমন ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। পরে ৮১ বলে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে ২৫৬ রানের পুঁজি নেনে দেন আফিফ হোসেন।

আরও পড়ুন >> গাছতলায় ঠাঁই হলো বাংলাদেশ দলের, মেলেনি দুপুরের খাবারও

আফিফের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ তামিম বলেন, ‘একটা পর্যায়ে আমাদের সংগ্রাম করতে হয়েছে। উইকেট আজও ভালো ছিল। আফিফের ব্যাটিং দেখা অনেক স্বস্তির ছিল। আমরা চাপের মুখে ছিলাম। অথচ তার ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি চাপে আছে। অনেক ভালো টাইমিংয়ে খেলছিল। দারুণ ব্যাট করেছে।’

২৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১০৫ জয় পায় বাংলাদেশ। নিজেদের ম্যাচ পরিকল্পনা কেমন ছিল সেটিও বলেন অধিনায়ক, ‘৩০৩ আর ২৯০ রান করে যখন হারবেন তখন ২৫৬ রান ২০০ রানের মতো। আমি ভেবেছিলাম ৩৫ ওভারের মধ্যেই খেলা শেষ করতে পারব। এজন্য ক্রমাগত আক্রমণ করে দেখতে চেয়েছি কী হয়। সৌভাগ্যবশত আমরা দ্রুত ৫টি উইকেটের পতন ঘটাতে পেরেছিলাম। এতে আমাদের কাজ সহজ হয়ে যায়।’

টিআইএস/এইচএমএ