ছবি: বিসিবি

করোনাসৃষ্ট ‘নতুন স্বাভাবিকতায়’ অনেক কিছুই বদলে গেছে। বদলে গেছে ফুটবল-ক্রিকেটের মতো খেলাও। ক্রিকেটে যেমন বলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে আর লালা ব্যবহার করা যাচ্ছে না! নতুন এই নিয়মের সমালোচনা হলেও এ থেকে সরে আসেনি আইসিসি। তাই বোলার-ফিল্ডারদের খুঁজতে হচ্ছে নতুন পন্থা। তারই একটা উপায় হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ড সফরে পাবে বিশেষ এক ধরনের ট্রাউজার, যাতে ঘষে ধরে রাখা যাবে বলের চাকচিক্য!

রিভার্স সুইং পেতে পুরনো বলের একপাশ হতে হবে প্রায় নতুনের মতো, অন্যপাশ খসখসে। একটা পাশ নতুনের মতো চকচকে রাখতেই যতো চেষ্টা-চরিত্র করতে হয় ফিল্ডারদের। লালা-ঘাম দিয়ে, কিংবা জার্সি-ট্রাউজারে ঘষে সেটা ধরে রাখার চেষ্টা চলে খেলোয়াড়দের। তাহলেই মেলে বলের কাঙ্ক্ষিত অবস্থা।

তবে করোনাকালে প্রথম দুটো উপায়ে বাধ সেধেছে আইসিসি। লালা কিংবা ঘাম ব্যবহারে করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া এড়াতেই এই চেষ্টা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির। তাই বলের চাকচিক্য ধরে রাখাটাও হয়ে গেছে অনেকটাই কঠিন। বোলার-ফিল্ডাররা এখন অতিমাত্রায় নির্ভরশীল জার্সি-ট্রাউজারে ঘষার উপর।

খেলোয়াড়দের সেই ঝক্কি কমাতেই বাংলাদেশের জার্সি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টজ নিয়ে এসেছে বিশেষ এক ধরনের ট্রাউজার। স্বত্বাধিকারী মেহতাবউদ্দীনের দাবি, এতে করে বলের চাকচিক্য ধরে রাখা সহজ হবে তামিম ইকবালদের। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে ক্রিকেটাররাও ভালো সাড়া দিয়েছেন। এই ট্রাউজারের জন্য ফেব্রিকস আমদানি করা হয়েছে থাইল্যান্ড থেকে।’

তবে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল আরও মাসচারেক আগে। এরপর গেল উইন্ডিজ সিরিজের অনুশীলন সে ট্রাউজার পরেই করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তাদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার ফলেই মূলত নিউজিল্যান্ড সিরিজে এই ট্রাউজার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।

নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় খেলাগুলো হয় কোকাবুরা বল দিয়ে। বলের ঔজ্জ্বল্য তাড়াতাড়ি হারিয়ে ফেলায় ‘সুনাম’ আছে বলগুলোর। সেজন্যেই সেখানে নির্ভর করতে হয় রিভার্স সুইংয়ের ওপর। শোনা যাচ্ছে, নিউজিল্যান্ড সিরিজে অভিনব ট্রাউজার পরার পেছনে কাজ করছে সে কারণটাও।

এনইউ/এটি