প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা ভারতীয় স্পিনার অক্ষর প্যাটেল

বেশ আয়োজন করে ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করেছিল ভারত। কৃত্তিম আলোর ব্যবস্থা থাকলেও অন্ধকার সরিয়ে আলোর দেখা পেল না ইংল্যান্ড। মাত্র দেড় দিনেই শেষ আহমেদাবাদ টেস্ট। ১০ উইকেটে ইংলিশদের হারিয়ে চার ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক ভারত। 

প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এর আগে ম্যাচের ২ দিনে টেস্টের ফল নির্ধারণের নজির আছে ২১টি। আহমেদাবাদ টেস্ট সাক্ষী হলো এমন আরও একটি ঘটনার। 

স্পিনারদের রাজত্ব বললেও হয়তো কম বলা হবে। ম্যাচে উইকেট পড়েছে সর্বসাকুল্য ৩০টি। যেখানে ২৮টি উইকেটই দুই দলের স্পিনারদের দখলে। প্রথম ইনিংসে যা একটু বল হাতে তোলার সুযোগ পেয়েছেন দুই দলের পেসাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের কাজ হয়ে দাঁড়ালো শুধু বল কুড়ানো ও সতীর্থদের সঙ্গে উইকেট উদযাপন।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম সংস্করণের পর নতুন রূপে সেজেছে। এই মাঠেই দিবারাত্রির টেস্টের আয়োজন করেছিল ভারত। ইংল্যান্ড সে আয়োজনে পানি ঢেলে দিল, নাকি ভারত বীরত্ব দেখিয়ে জিতল এনিয়ে তর্ক হতে পারে। তবে উৎসবের মধ্যেও নিশ্চয় মন খারাপ সমর্থকদের! যারা ম্যাচের বাকি ৩ দিন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে ম্যাচটি উপভোগ করবে বলে ভেবেছিলেন, তাদের কথা একবার ভাবুন।

ভারতের জয় এক পাশে রাখলে যারা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছেন, তারা নিজেরাও কি নিজেদের সৌভাগ্যবান বলে মেনে নিতে পারছেন? পাঁচ দিনের দিবারাত্রির টেস্টে ফ্লাডলাইটের আলোটা ঠিকঠাকভাবে দুটো দিনও যে জ্বললো না। নিজেদের আসনে নড়েচড়ে বসার আগেই ম্যাচের ফলাফল দেখে ফেললেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত সমর্থকরা। এতে বরং অন্যরা বেজার হলেও হাফ ছেড়ে বাঁচলেন দুই দলের ব্যাটসম্যানরা। এমন পরীক্ষার সামনে পড়তে চায় কজন?

প্রথম ইনিংসে ১১২ রানে আলআউট হওয়া ইংল্যান্ড ভারতকে গুটিয়ে দেয় ১৪৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও শোচনীয় অবস্থা সফরকারীদের। মাত্র ৮১ রানে অলআউট ইংল্যান্ড। ম্যাচ জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন পড়ে ৪৯ রান। এই লক্ষ্য টপকাতে খুব বেশি সময় নেননি ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা আর শুভমান গিল। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৭ ওভার ৪ বলেই দলকে জয় পাইয়ে দেন তারা। ফলে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে চার ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।

টিআইএস