বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা দুই সিরিজ জয়, ওয়ানডেতে আবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই। জিম্বাবুয়ের আনন্দে আটখানা হওয়ারই কথা ছিল। বাংলাদেশকে হারিয়ে উড়তে থাকা জিম্বাবুয়ে রীতিমতো হুঙ্কারও ছেড়ে বসেছিল, ভারত গেলেও তাদেরও হারাতে চাওয়ার হুঙ্কার। তবে সেটা ধোপে টেকেনি শেষমেশ। ওয়ানডে সুপার লিগের সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে লোকেশ রাহুলের দল।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হেরেছিল দলটি। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও হারের কবলেই পড়তে হলো স্বাগতিকদের। তবে এবার ব্যবধানটা কমলো একটু, ৫ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে জিম্বাবুইয়ানরা। 

হারারেতে টস জিতে প্রথমে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। এই ম্যাচেও যে একই পরিণতি হচ্ছে, বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায় তখনই। সফরকারী বোলারদের তোপে যে শুরু থেকেই নাভিশ্বাস উঠেছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের! 

দশ ওভারের পাওয়ারপ্লেতে ওঠেনি ৩০ রানও। পাওয়ারপ্লে শেষে একে একে খোয়াতে থাকে উইকেটও। ৩১ রানে খুইয়ে বসে ৪ উইকেট। শন উইলিয়ামসকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সিরিজে দুই সেঞ্চুরি করে সিরিজসেরা হওয়া সিকান্দার রাজা একটা চেষ্টা অবশ্য করেছিলেন, তবে তার ইনিংস ১৬ রানেই শেষ হয়। এরপর উইলিয়ামসের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন রায়ান বার্ল। তবে দলের রান ১০০ পেরোতে ৪২ রান করে বিদায় নেন উইলিয়ামস।

এরপর বার্ল ওপাশে সঙ্গীর আসা যাওয়াই দেখেছেন কেবল। শেষমেশ তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৯ রানে। ৩৮.১ ওভারে ১৬১ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। শার্দূল ঠাকুর ৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে যাতে বড় অবদানই রাখেন।

আগের ম্যাচে এর চেয়ে বড় লক্ষ্যও বিনা উইকেটে টপে গিয়েছিল ভারত। তবে আজ সেটা অত সহজ হয়নি। শুরুতেই লোকেশ রাহুলকে (১) হারিয়ে বসে ভারত। শিখর ধাওয়ানও ২১ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে ৯৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। 

তবে এরপর সাঞ্জু স্যামসনের ৩৯ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস ভারতের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলে। সিরিজের শেষ ম্যাচে আগামী সোমবার আবারও মুখোমুখি হবে দুই দল।

এনইউ