ডু-অর ডাই ম্যাচ, এই সমীকরণে খেলতে নেমে দুবাইয়ের মাঠে টাইগার ব্যাটাররা নিজেদের দায়িত্বটা সঠিকভাবেই পালন করে এসেছিলেন। পরবর্তীতে দায়িত্ব ছিল বোলারদের, আর সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন এবাদত-মেহেদীরা। এদিন বোলারদের ব্যর্থতার সাথে ছিল বাজে ফিল্ডিং, ক্যাচ মিস ও ওয়াইড-নো বলের অতিরিক্ত রান। এমনকি উইকেটের পেছন থেকে মুশফিক মিস করে গেছেন কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে বল লাগার শব্দ, যার ফলে রিভিউ নিয়ে আরও আগেই এই ব্যাটসম্যানকে ফেরানোর সুযোগ হেলায় হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ হারের পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, তাকে রিভিউ নেওয়ার কথা বলেনি কেউ।

শুরু থেকেই এদিন লঙ্কান ব্যাটারদের চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কুশল মেন্ডিস ড্রাইভ করলে বল উইকেটের পেছনের ডানদিকে যায় মুশফিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটা গ্লাভসে নিয়েও ধরে রাখতে পারেননি। এরপর আবার কুশল বল পুল করতে গিয়ে দিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে। আবেদন হলেও আম্পায়ার সে আবেদনে সাড়া দেননি। পরে স্নিকোমিটারে দেখা যায়, বল ব্যাটে লেগেই গেছে মুশফিকের হাতে। তখন কেউই রিভিউ নিতে আগ্রহ দেখায়নি। এ নিয়ে ম্যাচ শেষে হতাশা ঝরেছে অধিনায়কের কন্ঠে।

আরও পড়ুন >> রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ হেরে বিদায় বাংলাদেশের

এ বিষয় নিয়ে সাকিব বলেন, ‘কেউই শুনেনি আসলে, এখন কি বলব। আমি তো কাভারে ছিলাম। মিড উইকেট, শর্ট মিড উইকেটে যে ছিল কেউই বলেনি যে ভাই নেন রিভিউ। বা রিভিউটা নেওয়া যায় কিনা।’

গেল কয়েক দশক ধরে ক্রিকেট খেলাটা বাঙালির রক্তের সাথে মিশে চলেছে। যদিও সকলের মাথার চেয়ে মনের মধ্যে দিয়ে চলে এ খেলা। তবে এমন ভাবনাতেও পরিবর্তন আনার অঙ্গিকার জানালেন সাকিব।

আরও পড়ুন >> টি-টোয়েন্টিতে নতুন মাইলফলক ছুঁলেন মুশফিক

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক আবেগপ্রবণ দল। এই একটা জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। খেলাটা মাথা দিয়ে খেলতে হবে, বাড়তি মন দিয়ে নয়।’

ম্যাচ হারের পর দুবাইয়ের স্টেডিয়াম থেকে চোখে পানি নিয়ে বের হতে দেখা গেছে শতশত বাঙালি দর্শকদের। অনেকে গণমাধ্যমের সামনে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, তুলেছেন কয়েক ক্রিকেটারের অবসরের দাবি।

এসএইচ/এইচএমএ