অবশেষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দিলেন মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি দল থেকে ব্রাত্য হয়েছিলেন, বিসিবি সেটার কেতাবি নাম দিয়েছিল ‘বিশ্রাম’। এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পেয়েছিলেন, সেখানে নিজেকে প্রমাণের বদলে উল্টো ব্যর্থতার অতলে হারিয়ে গেছেন।

এশিয়া কাপের ব্যর্থতাতেই হয়ত নিজের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষটা দেখে ফেলেছিলেন মুশফিক। তাই এশিয়া কাপ থেকে দেশে ফেরার পরদিনই টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানালেন ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের।

২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথম কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে পা রাখেন মুশফিক। টি-টোয়েন্টির আঙ্গিনায় ১৬ বছর কাটিয়েছেন এই বর্ষীয়ান ক্রিকেটার, খেলেছেন ১০২টি ম্যাচ। বাংলাদেশের হয়ে ১০০-এর বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ৩ ক্রিকেটারের একজন মুশফিক।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাট হাতে কখনোই খুব বেশি আলো ছড়াতে পারেননি মুশফিক। ১০২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৯.৪৮ গড়ে ১৫০০ রান করেছেন তিনি। ৯৩ ইনিংসে ব্যাট করে মাত্র ৬ বার অর্ধশতক পেরিয়েছেন মুশফিক। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন ক্যারিয়ারসেরা ৩৫ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট ১১৫.০৩।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেটরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের অধিকারী ক্রিকেটারদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন মুশফিক। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে উইকেটরক্ষক ক্যাচ-স্টাম্পিং মিলিয়ে ৬২টি ডিসমিসাল রয়েছে তার ঝুলিতে। এই তালিকায় তার সামনে রয়েছেন কেবল ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি (৯১ ডিসমিসাল), দক্ষন আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক (৭৭) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীনেশ রামদিন (৬৩)।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবমিলিয়ে ৪২টি ক্যাচ তালুবন্দি করেছেন, যার মধ্যে উইকেটরক্ষক হিসেবে ৩২টি ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিক। উইকেটরক্ষক হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ক্যাচের দিক দিয়ে বিশ্বে সপ্তম এই বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক। এছাড়া তার ৩০টি স্টাম্পিং টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে উইকেটরক্ষকদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এই কীর্তিতে তার সামনে রয়েছেন শুধু ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি (৩৪ স্টাম্পিং) এবং পাকিস্তানের কামরান আকমল (৩২)।

এইচএমএ/এটি