গেল বার বিশ্বকাপ ফাইনালের খুব কাছেই ছিল পাকিস্তান। তবে শেষ সময়ে এসে তরী ডোবে দলটির। সে পর্যন্ত এবার যাওয়াই হবে না বাবর আজমের দলের। এমনটা মনে হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতারের। মূলত দলটির বিশ্বকাপের দল দেখেই এমনটা মনে হচ্ছে তার।

ব্যক্তিগত ইউটিউবে এই কথা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘এ কেমন দল নির্বাচন! বলাবলি হচ্ছিল তারা ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এমন সিদ্ধান্তই নেবেন, যা সবারই মনে ধরবে। কিন্তু এটা কী হলো? মিডল অর্ডারে পরিবর্তন এলো না, কেমন সিদ্ধান্ত হলো এটা?’

পাকিস্তানের মিডল অর্ডার এশিয়া কাপের ফাইনালে ভেঙে পড়েছিল হুড়মুড়িয়ে। চাপের মুহূর্তে চাপটা সামলাতে পারেনি দলটি। তার খেসারতই দল দিয়েছে এশিয়া কাপের শিরোপা খুইয়ে। সেই মিডল অর্ডারেই তেমন কোনো পরিবর্তন আনেনি পাকিস্তান। 

শোয়েব আখতারের ক্ষোভটা মূলত এখানেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের মিডল অর্ডারেই মূল সমস্যাটা ছিল, নির্বাচকরা কি-না সেটাই গুরুত্ব দিয়ে দেখল না! পরিবর্তনও এলো না!’

এরপর হেড কোচ সাকলায়েন মুশতাককেও একহাত নেন শোয়েব। বলেন, ‘প্রধান নির্বাচক গড়পড়তা মানের হলে এমন সিদ্ধান্তই তো আসবে! ২০০২ সালে শেষ বারের মতো ক্রিকেট খেলেছে সাকলায়েন। সে আমার বন্ধু, আমার বলতে তাই খারাপই লাগছে। তবে আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কোনো ধারণাই নেই তার।’

পাক মিডল অর্ডারে ইফতিখার আহমেদ আছেন। তিনি শোয়েবকে মিসবাহ উল হকের কথাই মনে করিয়ে দেন। তবে তা নেতিবাচক অর্থে। ধীরগতিতে খেলার কারণে মিসবাহর একটা দুর্নাম ছিল, সেটাই এখন করছেন ইফতিখার, অভিমত শোয়েবের। তিনি বলেন, ‘মাশাআল্লাহ্! ইফতিখার (আহমেদ) তো আমাদের দ্বিতীয় মিসবাহ। মোহাম্মদ রিজওয়ান আগে থেকেই ছিল আমাদের, এখন সে-ও যোগ দিল।’

সব কিছুর মিশেলে পাকিস্তানের খুব বেশি আশা শোয়েব দেখছেন না। তার ভাষ্য, ‘আমরা যে দল গড়েছি, এই দল নিয়ে হয়তো বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ে যেতে হবে। আমার ভয় হচ্ছে, কারণ আমাদের ব্যাটিংয়ে তো কোনো গভীরতাই নেই। এমনকি আমাদের অধিনায়কও তো এই ফরম্যাটের সঙ্গে যায় না!’

এনইউ/এটি