রোববার সন্ধ্যায় উপমহাদেশের তিন দল, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের সবাই নেমেছিল মাঠে। তিন দলই নিজ নিজ ম্যাচে তুলে নিয়েছে জয়। জয়ের ধরনেও আছে অদ্ভুত মিল, তিন দলকেই যে জিততে হয়েছে ঘাম ঝরিয়ে!

দুবাই, হায়দরাবাদ ও করাচিতে রোববার প্রায় একই সময়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ ছিল যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। তিনটি ম্যাচেই দেখা গেছে একই দৃশ্য। ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। বাংলাদেশ জিতেছে ৭ রানে, ভারত ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতলেও অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৯.৫ ওভার পর্যন্ত, ওদিকে পাকিস্তান ৩ রানে জিতেছে প্রায় হেরে যাওয়া এক ম্যাচই! 

ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ক্যামেরন গ্রিন আর টিম ডেভিডের ঝোড়ো দুই ফিফটিতে ১৮৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায়। জবাবে ভারত বিরাট কোহলি আর সূর্যকুমার যাদবের দুটো ফিফটিতে জয়ের খুব কাছেই চলে যায় ভারত। 

তবে শেষ ওভারে কোহলির বিদায়ের পর বিপাকেই পড়ে যায় দলটি। শেষ চার বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। এরপর ইনিংসের পঞ্চম বলে হার্দিক পান্ডিয়া চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৬ উইকেটের এই জয়ের ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজটাও নিশ্চিত করে ফেলে ভারত।

পাকিস্তানের জয়টা ছিল আরও কঠিন। মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৮৮ রানের ইনিংস, সঙ্গে বাবর আজমের ৩৬ আর আসিফ আলির ৩ বলে ১৩ রানের ক্যামিওতে ভর করে পাকিস্তান পায় ১৬৬ রানের পুঁজি।

জবাবে জবাবে মোহাম্মদ নওয়াজ আর হাসনাইনের তোপে ১৪ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বসে ইংল্যান্ড। তবে এরপর বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক আর অধিনায়ক মইন আলীর ত্রিশ ছোঁয়া তিনটি ইনিংসে কক্ষপথে ফেরে সফরকারীরা। শেষ দিকে লিয়াম ডসনের ১৭ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে জয়টাকে হাতের মুঠোতেই দেখতে পাচ্ছিল সফরকারীরা। 

এরপরই শুরু হারিস রউফের ভেল্কির। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান, ইংলিশদের হাতে ছিল ৩ উইকেট। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে হারিস ফেরান ডসনকে, এর পরের বলে ওলি স্টোনকেও দেখান সাজঘরের পথ। তবু খেলাটা শেষ ওভারে যায়, একটু এদিক ওদিক হলে ইংল্যান্ডই হাসতে পারত শেষ হাসি, ৬ বল থেকে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান! তবে তা হয়নি শেষমেশ, শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে দ্রুত রান নিতে গিয়ে শান মাসুদের সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভাঙে রিস টপলির। তাতেই ৩ রানের জয় নিয়ে সিরিজে ২-২ সমতা ফেরায় পাকিস্তান। একই দিনে জিতে চলে আসে ভারত-বাংলাদেশের কাতারেও।

এনইউ