মাত্র এক সপ্তাহেরই ব্যবধান! এই সাত দিনের এদিক ওদিকেই বদলে গেল দৃশ্যপট। নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথে সাবিনা খাতুনরা ৩-১ গোলে জিতে সাফের শিরোপা ছুঁয়েছিলেন। এর সাত দিন পরেই দেখা গেল উল্টো চিত্র। নেপাল পুরুষ দল জামাল ভূঁইয়াদের হারিয়েছে একই স্কোরলাইনে। এই জয়ের মাধ্যমে নেপাল মধুর প্রতিশোধও নিল বৈকি!

প্রথমার্ধেই স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ০-৩ গোলে পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক করেছেন অঞ্জন বিষ্টা। প্রথমার্ধটা পুরোপুরি স্বাগতিকদের হলেও আগের ম্যাচে কম্বোডিয়াকে হারানো বাংলাদেশ শুরুটা করেছিল দারুণ। বক্সের একটু সামনে বাংলাদেশ ফ্রিকিকও পেয়েছিল। বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার করা ফ্রি কিকটা ফেরত আসে ক্রসবারে লেগে। 

বাংলাদেশ ফ্রি কিক থেকে গোলবঞ্চিত হলেও নেপাল ফ্রি কিক থেকেই গোল আদায় করেছে। ১৮ মিনিটে বক্সের বাঁ প্রান্ত ঘেঁষে পাওয়া ফ্রি কিকে অঞ্জন বিষ্টা হেডে গোল করেন। নয় মিনিট পর আবার অঞ্জন নেপালকে এগিয়ে নেন। সংঘবদ্ধ আক্রমণে নেপালের ফরোয়ার্ডের আক্রমণ প্রথমে বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো হাফ সেভ করেন। ফিরতি বলে অঞ্জন প্লেসিংয়ে গোল করেন। অঞ্জন বক্সে আনমার্কড ছিলেন। 

৩৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন অঞ্জন। ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত হেড করেন এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশ বক্সের সামনে আরেকটি ফ্রি কিক পায়। জামালের নেয়া এই ফ্রি কিক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফেরত আসে। ৩-০ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে যাওয়া লাল সবুজের প্রতিনিধিরা তখন আরও বড় হারের শঙ্কায়!

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো ফুটবল খেলেছে। একটি গোল পরিশোধ করেছে। কম্বোডিয়া ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল রাকিব হোসেনের একমাত্র গোলে। আজকের ম্যাচে তিনি গোল না পেলেও গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন বেশ কিছু। রাকিবের তৈরি করা তেমন এক সুযোগ থেকেই সবেধন নীলমণি গোলটা আসে বাংলাদেশের। তার ক্রসে বক্সের মধ্যে হেডে ফিনিশিং করেন সাজ্জাদ হোসেন। 

এক গোল পরিশোধ করে বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে বেশ। আরো গোলের সুযোগও পেয়েছিল। ফিনিশিং দুর্বলতার জন্য সেই গোলগুলো আর হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধ বাংলাদেশ প্রাধান্য বিস্তার করেই খেলেছে। তবে তাতে গোলের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছুই ‘অর্জন’ করা যায়নি।

এজেড/এনইউ