সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৬০ ছোঁয়া পুঁজি নিয়েও জয়টা কঠিনই হয়ে পড়েছিল। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা বড় রানের আভাসই দিচ্ছিল। তবে পাওয়ারপ্লেতে ৪৮, প্রথম দশ ওভারে ৮৩ রান তোলার পরও শেষ দশ ওভারে রান রেটটা বেড়েছে মোটে ০.৩। তাই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৬৯ রানের পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সফরকারীদের।

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও আজ টসভাগ্য সঙ্গ দেয়নি বাংলাদেশের। বোলিং বিভাগে ২ পরিবর্তন আনলেও ব্যাটিং বিভাগে কোনো পরিবর্তন আনেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। ফলে উদ্বোধনী জুটিতে দেখা যায় সেই মেহেদি হাসান মিরাজ আর সাব্বির রহমানকেই। সাব্বির আগের ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এই ম্যাচে পারলেও বেশি দূর এগোতে পারেননি। ৯ বলে ১২ রান করে সাব্বির ফেরেন দলীয় ২৭ রানে।

তিনে আসা লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ারপ্লের বাকি সময়টা স্বচ্ছন্দেই পার করে দেন মিরাজ। ছয় ওভার শেষে বাংলাদেশ তুলে ফেলে ৪৮ রান।

তবে এর একটু পরেই লিটন ফেরেন ২০ বলে ২৫ রান করে। এরপর আফিফ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন। দারুণ দুটো বাউন্ডারিতে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন আগের ম্যাচের ছন্দটা এই ম্যাচেও টেনে আনার। তবে ১০ বলে ১৮ রান করে তিনিও ফেরেন একটু পর। ১৫তম ওভারে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ওপেনার মিরাজ ফেরেন ফিফটি থেকে ৪ রান দূরে থেকে। তার বিদায়ের ফলে আর রানের চাকার গতি বাড়ানো সম্ভব হয়নি। রান রেটটা ঘুরেছে ৮ এর আশেপাশেই।

১৭তম ওভারের শেষে মোসাদ্দেকও যখন ফিরলেন ২২ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে, তখন দলের রান ছিল কেবল ১৩৭। সেখান থেকে বাংলাদেশের রানটা ১৬০ পেরিয়েছে ইয়াসির আলী ও অধিনায়ক নুরুল হাসানের কল্যাণে। দুজন মিলে শেষ তিন ওভারে তোলেন ৩২ রান। তাতেই ১৬৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

এনইউ