লক্ষ্য ছিল পাওয়ারপ্লেতে ‘৪৫’ রানের বেশি, কিন্তু পারিনি
আবারও সেই ভারতের কাছে হার, নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল এবার হেরেছে ৫৯ রানে। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আজ শনিবার প্রথমে ব্যাট করে ভারত সংগ্রহ করে ১৫৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগ্রেস ব্যাটারদের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে আসে ১০০ রান। ম্যাচ শেষে হারের কারণ হিসেবে অধিনায়ক জ্যোতি বললেন পাওয়ারপ্লের কথা।
বড় রানের লক্ষ্য তাড়ায় পাওয়ারপ্লে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন জ্যোতি। সেক্ষেত্রে যদি ৪৫ এর বেশি কিংবা ৫০ এর কাছাকাছি রান থাকতো তাহলে এত বড় ব্যবধানে হারতেন না বলে দাবি টাইগ্রেস অধিনায়কের।
বিজ্ঞাপন
এ নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘যখন আপনি এত বড় পুঁজি তাড়া করবেন, তখন কিন্তু পাওয়ারপ্লে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থাকে। যদি অন্তত ৪৫ এর বেশি কিংবা ৫০ এর কাছাকাছি আসতো তাহলে কিন্তু এত বড় ব্যবধানে আমরা হারতাম না। আরও ভালো হতে পারতো কিংবা আমরা একটা জেতার অবস্থায় যেতে পারতাম। ওইদিক থেকে আমার মনে হয় পিছিয়ে গেছি।’
পাওয়ারপ্লেতে দলের কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতি বলেন, ‘পরিকল্পনা তো অবশ্যই থাকে। যেহেতু এখন পর্যন্ত উইকেট অনেক ভালো, তাই আমাদের লক্ষ্যটাও এমন ছিল যেন ৪৫ এর বেশি রান তুলতে পারি স্কোরবোর্ডে। ওইটাই ছিল (লক্ষ্য)। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে তারা করতে পারেনি, আজকে ব্যর্থ হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ সকলের চাওয়া থাকে পাওয়ার প্লেতে যত রান সংগ্রহ করা যায়। জ্যোতি মনে করছেন দূর্ভাগ্যক্রমে আমাদের ব্যাটাররা বেশি সিঙ্গেল নিয়েছে এবং ডট বলগুলো বেশি দিয়ে ফেলছে।
জ্যোতির ভাষ্যে, ‘টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু পাওয়ারপ্লে-ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোচিং স্টাফের সঙ্গে আমাদের পরিকল্পনা কিন্তু এটাই থাকে। তারা বলেন কিন্তু যতটা লাক্সারি দেয়া যায় পাওয়ার প্লেতে। কারণ তখন দেখা যাচ্ছে সবাই বাউন্ডারির জন্য যাবে। কিছু বল ডট হলেও বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি আসলে কিন্তু ডট বলটা কাভার হয়ে যায়। আমার মনে হয় দূর্ভাগ্যক্রমে দুজনই বেশি সিঙ্গেল নিয়েছে এবং ডট বলগুলো বেশি দিয়ে ফেলছে।’
এসএইচ/এনইআর