ছয় ছক্কার পথে পোলার্ড/ছবি: ইএসপিএন ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা ১৩১-৯, ২০ ওভার (নিশাঙ্কা ৩৯, ডিকওয়েলা ৩৩; ম্যাকয় ২৫-২, অ্যালেন ৪-১, হোল্ডার ১৯-১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৪-৬, ১৩.১ ওভার (পোলার্ড ৩৮, হোল্ডার ২৯, লুইস ২৮, সিমন্স ২৬; হাসরাঙ্গা ১২-৩, দনাঞ্জয়া ৬২-৩)
ফলাফল: উইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: উইন্ডিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে
ম্যাচসেরা: কাইরন পোলার্ড

এক ওভারের ব্যবধানে মুদ্রার দুটো পিঠই দেখলেন আকিলা দনাঞ্জয়া। মাত্রই আগের ওভারে পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা, এরপরের ওভারে কাইরন পোলার্ডের কাছে হজম করলেন ছয় ছক্কা। খেলার ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায় সেই ওভারেই। তাতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিটা ৪ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল উইন্ডিজ।

পোলার্ড যখন উইকেটে এলেন, শ্রীলঙ্কা তখন রীতিমতো চালকের আসনে। উইন্ডিজকে ঝড়ো সূচনা এনে দেওয়া এভিন লুইসের পর ক্রিস গেইল আর নিকলাস পুরানকে পরপর ফিরিয়ে মাত্রই তখন ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি হ্যাটট্রিকটা তুলে নিয়েছেন দনাঞ্জয়া। পরের ওভারে আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্স বনে যান হাসরাঙ্গা ডি সিলভার শিকার। ১৩২ রান তাড়ায় নেমে ৬২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল উইন্ডিজ।

পোলার্ড এরপর সময় নেননি মোটেও। ‘আক্রমণই সেরা রক্ষণ’ নীতিতে পরের ওভারে বোলিংয়ে আসা দনাঞ্জয়ার ওপর চড়াও হন। প্রথম বলটা আছড়ে ফেলেন লং অন দিয়ে। দ্বিতীয় বলটা সীমানাছাড়া হয় বোলারের মাথার ওপর দিয়ে। তৃতীয় আর চতুর্থ বলে লং অন আর মিড উইকেটের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলেন সীমানার ওপারে। পঞ্চম বলে যেন দ্বিতীয় বলের পুনরাবৃত্তিই ঘটল। আর শেষ বলটা মিড উইকেটের ওপর দিয়ে যখন সীমানাছাড়া করলেন, হার্শেল গিবস ও যুবরাজ সিংয়ের পর মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা ছয় ছক্কার নজির গড়েন পোলার্ড। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের ফন বাঞ্জের এক ওভারে ৩৬ রান নিয়েছিলেন গিবস, সে বছরই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ছয়বার সীমানাছাড়া করেছিলেন যুবরাজ।

তবে দনাঞ্জয়ার যন্ত্রণা শেষ হয়নি এখানেই। পরের ওভারের প্রথম বলেও হজম করেছেন ছক্কা। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো টানা সাত ছক্কা হজমের ‘রেকর্ড’ও হয়ে যায় তার।

১৩২ রানের মামুলি লক্ষ্যে যদি কোনো দল ৭ বলেই পায় ৪২, লক্ষ্য তাড়ায় বেগ পেতে হয় না আর। উইন্ডিজ সমস্যাতে আর পড়েওনি তেমন। পোলার্ড আর ফাবিয়ান অ্যালেনকে পরপর দুই বলে হারানোর পরও জেসন হোল্ডার আর ডুইন ব্রাভোর দৃঢ়তায় ৪ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় দলটি।

এর আগে ধানুষ্কা গুনাথিলাকাকে শুরুতে হারানোর পরও শ্রীলঙ্কা শক্তপোক্ত একটা ভিত পায় নিরোশান ডিকওয়েলা আর পুথাম নিশাঙ্কার কল্যাণে। তাদের ৫০ এর জুটিতে দশম ওভারেইস ৭১ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। তবে এরপর উইন্ডিজ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে সংগ্রহটাকে আর বড় করতে পারেনি সফরকারীরা, ৯ উইকেট হারিয়ে থেমেছে ১৩১ রানে। পোলার্ডের কল্যাণে যে লক্ষ্য তাড়া করতে সমস্যাই হয়নি স্বাগতিক উইন্ডিজের।

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগামী ৬ মার্চ আবার মুখোমুখি হবে দুই দল।

এনইউ