ছবিতে ছবিতে বাংলাদেশের নাটকীয় জয়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গ্রুপ-২ এর মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এই ম্যাচে নানা নাটকীয়তা শেষে শেষমেশ জিম্বাবুয়েকে ৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের শেষ চারে যাওয়ার আশাও জিইয়ে রাখা গেছে এই জয়ের ফলে।
ব্রিসবেনের গ্যাবায় এই ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই মাঠে ছিল বাংলাদেশি দর্শকদের উপস্থিতি। নানা রঙে-ঢঙে সেজে মাঠে এসেছিলেন সবাই। উদ্দেশ্য ছিল একটাই। বাংলাদেশের জয় দেখা।
বিজ্ঞাপন
এই ম্যাচে বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। নাজমুল হোসেন ৫৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজির ভিত গড়ে দেয়।
বিজ্ঞাপন
শেষের দিকের ব্যাটাররা প্রত্যাশিত ঝড়টা তুলতে পারেননি। তবে আফিফ হোসেন ঠিকই খেলেন ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস। যাতে ভর করে বাংলাদেশ পায় ১৫০ রানের পুঁজি।
১৫০ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারে ফেরান ওয়েসলি মাধেভেরেকে। নিজের পরের ওভারে তিনি ফেরান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকেও। যার ফলে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণে।
জিম্বাবুয়ে এক পর্যায়ে ৬৯ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বসে। এরপর রায়ান বার্লের সঙ্গে মিলে শন উইলিয়ামসের জুটি জিম্বাবুয়েকে আবারও জয়ের পথে ফেরায়। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি হয়েই দাঁড়িয়েছিল এই জুটি।
১৯তম ওভার করতে আসা সাকিব আল হাসান দারুণ এক সরাসরি থ্রোতে রান আউট করেন শন উইলিয়ামসকে। সেখানেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়।
শেষ ওভারে আরও এক নাটক। শেষ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৫ রান, সেটা রিচার্ড এনগারাভাকে স্টাম্পিং করেন নুরুল হাসান। বাংলাদেশ জয়ের উদযাপন করতে করতেই মাঠ ছাড়ে। তবে আম্পায়াররা রিপ্লাইতে দেখেন স্টাম্পিং করতে গিয়ে স্টাম্পের আগে বল ধরে ফেলেন সোহান, যে কারণে বলটাকে নো ডাকা হয়। শেষ বল করতে আবারও মাঠে ডাকা হয় দুই দলকে।
যদিও সেখানে কোনো ভুলচুক করেননি বোলার মোসাদ্দেক হোসেন। সেই একই লাইনে বলটা করেন, মুজারাবানি মিস করেন এবারও। যার ফলে বাংলাদেশের জয়ের ব্যবধানটা একটু কমে, কিন্তু জয়টা আসে ঠিকই। হাসিমুখে মাঠ ছাড়ে সাকিব আল হাসানের দল।