অ্যাডিলেডে ভারতের চেয়ে এগিয়ে লাল-সবুজ
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট ম্যাচ এখন আর শুধুই নিছক একটা মাঠের লড়াই নয়। মাঠের বাইরেও ছড়ায় উত্তাপ! অ্যাডিলেড ওভালে বুধবার সেই দৃশ্যটাই দেখা গেল ফের ! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি শুরুর ঘন্টা দুয়েক আগে থেকে ওভালের সামনে শুরু উন্মাদনা। যেখানে সংখ্যায় ভারতীয় দর্শকরা বেশি থাকলেও স্লোগানে উচ্ছ্বাসে এগিয়ে গেল লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
এমন একটা ম্যাচের আবহ যখন তৈরি তখন আগে থেকেই প্রবাসী দর্শকদের আগ্রহটা ছিল আকাশ ছোঁয়া। অনেকেই পাশের ব্রিসবেন কিংবা সিডনি থেকে ছুটে এসেছেন ম্যাচটা দেখতে। আশেপাশের কোন হোটেলেই সিট ফাঁকা নেই। ভারত-বাংলাদেশের সমর্থকদের এমন উন্মাদনায় লাভ হয়েছে অ্যাডিলেডের হোটেল-ব্যাকপ্যাকার্স আর এয়ার বিএনবির!
বিজ্ঞাপন
ছোট্ট সন্তানটিকে নিয়েও অনেকে এসেছে প্রিয় মাতৃভূমির খেলা দেখতে। এমনিতে অস্ট্রেলিয়ায় বুধবার দিনটি ছুটির নয়, কর্মমুখর। কিন্তু ম্যাচটা তো দেখতে হবে তাই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে এসেছেন।
বিজ্ঞাপন
অ্যাডিলেডের স্থায়ী বাংলাদেশের এক শিক্ষার্থী রুবায়েত হোসেন বলছিলেন, ‘ম্যাচটা দেখবো বলে এদিন কোন কাজ রাখিনি। এটা অনেক আগে থেকেই আমাদের পরিকল্পনায় ছিল। দেখতেই পাচ্ছেন সবাইকে নিয়ে হাজির হয়েছি।’ তার সূত্রেই জানা গেল, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার শহর অ্যাডিলেডে প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার বাংলাদেশির বসবাস।
মজার ব্যাপার হলো ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের ঠিকঠাক চেনা না গেলেও বাংলাদেশিরা লাল-সবুজে ছিলেন রঙিন। দূর থেকেই আঁচ করা যাচ্ছিল টাইগার সমর্থকদের। আবার গর্জনেও প্রতিবেশী দর্শকের চেয়ে আলাদা করেই চেনা যাচ্ছিল তাদের। মাঠে বিশাল সাইজের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সঙ্গে করে এনেছেন একদল সমর্থক।
তবে খেলায় যাই হোক-দর্শকরাও মাটিতেই পা রাখলেন। রুমানা নামের এক তরুণী যিনি তার স্বামী-সন্তান নিয়ে এসেছেন খেলা দেখতে।
তিনি বলছিলেন, ‘ম্যাচে কী হবে জানি না। সেটা নিয়ে ভাবতেও চাই না। আমরা শুধু বাংলাদেশ দলকে সমর্থন দিয়ে যাবো। ওরা প্রাণ খুলে খেলে যাক।’ প্রিয় ক্রিকেটার কে? সেখানেও স্মার্ট উত্তর, ‘গোটা বাংলাদেশের প্রতিটি ক্রিকেটারই প্রিয়। সবার জন্যই আজ স্লোগান তুলবো।’
আসলে বাংলাদেশের সমর্থকরাই এমন, শর্তহীন ভালবাসা দিয়ে যায়। প্রবাসীরা যেন সেখানে আরও বেশি উজ্বল দৃষ্টান্ত। সিডনির পর ব্রিসবেন এবার অ্যাডিলেড এখানে লাল-সবুজের জয়গান!
এটি/এজেড/এনইউ