বাংলাদেশ ইমার্জিং দল

একমাত্র চারদিনের ম্যাচে সফরকারী আয়ারল্যান্ড উলভসকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল বা হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিট। এরপর দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে। সেখানে করোনার কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে প্রথম ম্যাচ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রোববার আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ এইচপি দলকে ২৬৪ রানের লক্ষ্য দেয় আইরিশরা। রোমাঞ্চকর ম্যাচে ২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

টার্গেট টপকাতে নেমে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দুই সদস্য মাহমুদুল হাসান জয় ও শামীম পাটোয়ারী। জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান। ৩৯ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। এছাড়া ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন অধিনায়ক সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও তৌহিদ হৃদয়।

শুক্রবার ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ চলাকালীন খবর আসে- আয়ারল্যান্ডের পেসার রুহান প্রিটোরিয়াসের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। এরপরই চিকিৎসকদের পরামর্শে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। পরে করোনা পরীক্ষায় সবার ফল নেগেটিভ এলে ঠিক সময়ে মাঠে গড়ায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি।

রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৮৮ রান যোগ করেন আয়ারল্যান্ড উলভস দলের দুই ওপেনার জেমন ম্যাককুলাম ও রুহান প্রিটোরিয়াস। ৪১ রানে থাকা ম্যাককুলামকে আউট করে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি ফেরান পেসার সুমন খান। এদিন ম্যাককুলাম অর্ধশতকের দেখা না পেলেও সেই স্বাদ পেয়েছেন প্রিটোরিয়াস। তবে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। স্পিনার রকিবুল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৯০ রান করে।

পরে ডোহেনির ৩৭ রানের সঙ্গে হ্যারি ট্যাক্টরের ৩১ ও গেটকাটের ২৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৬৩ রান জমা করে আয়ারল্যান্ড উলভস। বাংলাদেশ এইচপি দলের হয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন রকিবুল হাসান, সুমন খান এবং একটি করে উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম।

২৬৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৪৪ রান তুলতে পারে স্বাগতিক দলের দুই ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম। তানজিদ ১৭ ও সাইফ ৩৬ রানে আউট হওয়ার পর রাব্বিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন জয়। ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিংয়ে নিজের ফিফটি তুলে নেন তিনি। পরে অবশ্য ফেরেন ৬৬ রান করে। 

শেষদিকে অবশ্য খানিক বিপদে পড়তে হয় স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৩৪ রান। দলের প্রয়োজনের সময় জ্বলে ওঠে শামীমের ব্যাট। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনি। শেষ ওভারে ৯ রানের প্রয়োজন হলে প্রথম বলেই মিড উইকেট দিয়ে চার মারেন সুমন খান। জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন শামীম। ২ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে পাওয়া জয়ে ৩৯ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

আয়ারল্যান্ড উলভস: ২৬৩/৭, ৫০ ওভার (প্রিটোরিয়াস ৯০, ম্যাককুলাম ৪১, ডোহানি ৩৭; রকিবুল ২/৩৯, সুমন ২/৫২)
বাংলাদেশ এইচপি দল: ২৬৪/৬, ৪৯.৪ ওভার (জয় ৬৬, শামীম ৫৩, সাইফ ৩৬; হোয়াইট ২/৪৫, গেটকেট ১/১৫)
ফল: বাংলাদেশ এইচপি দল ৪ উইকেটে জয়ী। 

টিআইএস/এটি/এমএমজে