বিরাট কোহলিকে নিয়ে একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে কোহলির ছবি সম্বলিত পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, আইসিসি নাকি কোহলিকে সর্বকালের সেরা টেস্ট অধিনায়ক ঘোষণা করেছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘বিরাট কোহলিকে সর্বকালের সেরা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছে আইসিসি।’

ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দাবিটি সত্যি নয়। আইসিসি এমন কোনো ঘোষণা করেনি। পরিসংখ্যানও এই দাবিটিকে সমর্থন করে না।

যদি আইসিসির পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয় তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে অবশ্যই খবর প্রকাশ করা হতো। কিন্তু এমন কোনো সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন, খবর, কিছুই পাওয়া যায়নি। যা থেকে এই দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

আইসিসির পক্ষ থেকে বিরাট কোহলিকে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে কি না তা নিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। তখন হিন্দুস্তান টাইমসের একটি খবর দেখা যায় যেটি ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর প্রকাশ পেয়েছিল। ওই খবরে লেখা হয়, গত দিনকয়েক আগেই শেষ হওয়া টি২০ বিশ্বকাপের পর বিরাট কোহলিকে অক্টোবর মাসের ‘প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’, অর্থাৎ মাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া আইসিসি ও কোহলির বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অ্যাডভান্স কিওয়ার্ড সার্চের সাহায্যে খোঁজার পর ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ওয়েবসাইটে ভারতীয়-সহ বাকি সব টেস্ট অধিনায়কদের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। সেই তালিকায় সবার উপরে দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রেম স্মিথের নাম। তিনি ১০৯টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছিলেন, যার মধ্যে ৫৩টি ম্যাচে তার দল জয়লাভ করে। জয়ের শতকরা হার ছিল ৪৮.৬২ শতাংশ।

এরপর যে দুজনের নাম আসে তারা হলেন সাবেক অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও স্টিভ ওয়া। পন্টিং ৭৭টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন যার মধ্যে ৪৮টিতে অস্ট্রেলিয়া জয়লাভ করে, অন্যদিকে স্টিভ ৫৭টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন যার মধ্যে ৪১টিতে অস্ট্রেলিয়া জয়লাভ করে। দুজনের অধিনায়কত্বে তাদের দলের শতকরা হার ছিল ৬৯.৩৩ ও ৭১.৯২ শতাংশ।

এই তালিকায় বিরাট কোহলির নাম আসে চার নম্বরে। তিনি ভারতের হয়ে ৬৮টি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন যার মধ্যে ৪০টি ম্যাচে ভারত জয়লাভ করে। জয়ের শতকরা হার ছিল ৫৮.৮২ শতাংশ।

সুতরাং, ভাইরাল হওয়া পোস্টটি যে বিভ্রান্তিকর তা বোঝাই যাচ্ছে। 

এসএসএইচ