টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে ভারত। এর মাঝেই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডের একটি আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। ম্যাচে ভারত হার স্বীকার করার আগেই ডাগআউটে উঠে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের সঙ্গে হাত মেলাতে শুরু করেন হার্দিক। সমর্থকদের প্রশ্ন, এত তাড়াহুড়ো কী কারণে?
 
রান তাড়া করতে নেমে ভারতের ইনিংসের শেষ বল তখনও বাকি। এক বলে দরকার ছিল ১৭ রান, যা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। ক্রিজে ছিলেন উমরান মালিক এবং শিবম মাভি। 

কিন্তু শেষ বল হওয়ার আগে আচমকাই ডাগআউটে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন হার্দিক। হাত মেলাতে থাকেন একের পর এক সতীর্থের সঙ্গে। শুভমন গিল, ঈশান কিশান, সূর্যকুমার যাদব সবার সঙ্গেই হাত মেলান। 

সাধারণত ম্যাচ শেষ হয়ে গেলে সতীর্থ এবং বিপক্ষের ক্রিকেটাররা একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এ ক্ষেত্রে কেন ম্যাচ শেষ হওয়ার অপেক্ষা করলেন না হার্দিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

কেউ কেউ বিষয়টাকে মজা হিসাবেই নিয়েছেন। লিখেছেন, এখন হার্দিকের যুগ। সব কিছুই ঘটতে পারে। তার বিরোধিতা করে আরেক জন লেখেন, হার্দিকের আচরণ দেখে অদ্ভুত লাগল। আগে কখনও এ জিনিস দেখিনি। আরেক জন লিখেছেন, এই আচরণের মাধ্যমে ক্রিকেট খেলাটাকেই অশ্রদ্ধা করল হার্দিক। বোর্ডের উচিত ওর সঙ্গে কথা বলা। 

এদিকে ১৫ রানে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পরে হার্দিক কিছুটা হলেও হারের দায় চাপিয়েছেন আরশদীপের ওপর। তিনি বলেছেন, আগেও আরশদীপ অনেক নো বল করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নো বল হলো একটা অপরাধ। সেটা ওকে বুঝতে হবে। নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তবেই ও ভারো বল করতে পারবে। 

ম্যাচে ২ ওভারে পাঁচটি নো বল করেন আরশদীপ। তার মধ্যে নো বলের হ্যাটট্রিকও রয়েছে। বার বার একই ভুল করছিলেন আরশদীপ। নো বলের জন্য একটি উইকেটও পাননি তিনি। তার খারাপ বোলিংয়ের খেসারত দিতে হয় ভারতীয় দলকে। বার বার আরশদীপকে নো বল করতে দেখে হতাশ হয়ে যান অধিনায়ক হার্দিক। আরশদীপ ভারতের প্রথম বোলার যিনি নো বলের হ্যাটট্রিক করলেন।

বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংও খারাপ হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন হার্দিক। তিনি বলেছেন, বোলিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি আমাদের। ব্যাট হাতেও শুরুটা খারাপ হয়েছে। পাওয়ার প্লে-তে ভালো খেলতে পারিনি। তবে খেলায় একটা দিন ভালো-খারাপ হতেই পারে। আমরা নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করব। 

এনএফ