তামিমকে অধিনায়ক করতে পারা বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্যের
স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি
মার্চ ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ সাল। মাঝে মহামারি করোনায় কেটে গেছে এক বছর। যদিও অনেক আগেই ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। ২০২০ সালের মার্চে সবশেষ বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ছিলেন টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। মাঝে খেলা চললেও আসেননি তিনি। এক বছর পর আবার যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। নিউজিল্যান্ডে সফরকারী বাংলাদেশ দলের স্পিনারদের ওপর আস্থা রাখছেন তিনি।
বেশ চড়া মূল্যে ভেট্টরির সঙ্গে চুক্তি করে বিসিবি। চুক্তি অনুযায়ী টাইগার স্পিনারদের ১০০ দিন কোচিং করাবেন তিনি। বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিতে ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকায় আসেন নিউজিল্যান্ড দলের সাবেক অধিনায়ক। এরপর সেই বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ভারত সফর করেন তিনি। তবে পাকিস্তানের সফরে ছিলেন না এই সাবেক বাঁহাতি স্পিনার।
বিজ্ঞাপন
করোনার আগে ২০২০ সালের মার্চ মাসে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সে সময় দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। প্রায় সাড়ে ১০ মাস পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। এই সিরিজে টাইগার স্পিনারদের দায়িত্ব নিতে বাংলাদেশে আসেননি ভেট্টোরি। প্রায় এক বছর পর যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফরে।
নিজ দেশে কাজে ফিরে উচ্ছ্বসিত ভেট্টোরি। দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে জানালেন, ‘ফিরতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। বিশেষ করে কুইন্সটাউনে বাংলাদেশ খেলোয়াড়দের সঙ্গে। এক বছর পরে সবাইকে দেখতে পারাটা দারুণ ব্যাপার।’
বিজ্ঞাপন
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ স্পিনারদের নিয়ে আর দিন বিশেক কাজ করার সুযোগ পাবেন ভেট্টোরি। নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজেই শেষ হচ্ছে তার দায়িত্বের মেয়াদ। চুক্তির মেয়াদ শেষের আগেও টাইগার স্পিনারদের প্রতি আস্থা রাখছেন ভেট্টোরি। জানালেন, নিউজিল্যান্ডে বাউন্সি উইকেট হলেও ভালো করবেন মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী, নাসুম আহমেদরা।
ভেট্টোরি বলেন, ‘আমার মনে হয় স্পিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সফল ছিল। এমনকি অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্পিন সাদা বলের ক্রিকেটের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষত মিরাজ, তার অভিজ্ঞতা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার দারুণ পারফরম্যান্সের বিচারে সে দলকে অনেক কিছু দিতে পারবে, সঙ্গে মেহেদী এবং নাসুম আছে, তারাও দলে জায়গা করে নিতে পারে। দলের পারফরম্যান্সে ভূমিকা রাখতে পারে।’
তামিমের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দল ভালো করবে বলে জানান তিনি, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের সৌভাগ্য এই সিরিজে তামিমকে অধিনায়ক হিসেবে নিয়ে আসতে পারায়। সে খুবই খোলা মনের মানুষ এবং এর আগে নিউজিল্যান্ড সফর করে চ্যালেঞ্জগুলো নিয়েছে। সে বোঝে আগে কী কাজ করেনি এবং সে খুবই ইতিবাচক কোন ব্যাপারগুলো কাজ করবে সেই ব্যাপারে। আমার মনে হয়, সেটি আমাদের জন্য খুব ভালো একটি শুরু করার জায়গা।’
টিআইএস/এটি/এমএইচ