গত বছরের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি। বছর শেষ হয়ে গেলেও ব্যাটে ধার কমেনি তারকা এ ব্যাটারের। গুয়াহাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আবারও পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। তাতে একাধিক রেকর্ডে নাম লেখালেন ভারতের তারকা ব্যাটার। 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলির সেঞ্চুরি সংখ্যা এখন ৭৩টি। ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ানের তালিকায় এখন শচীন টেন্ডুলকারের পরেই আছেন তিনি। তবে একটি রেকর্ডে শচীনকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। আরেকটি রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন শচীনের পাশে। 

ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে শচীনের সেঞ্চুরি ২০টি। আর এ রেকর্ড গড়তে শচীনের লেগেছিল ১৬৪ ম্যাচ। ৬২ টি ম্যাচ কম খেলেই এবার তার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন কোহলি। ১০২ ম্যাচেই করে ফেলেছেন ২০টি সেঞ্চুরি। গুয়াহাটির সেঞ্চুরিতে একটি রেকর্ডে শচীনকে ছাড়িয়েও গেছেন কোহলি। 

ভারত-শ্রীলঙ্কার লড়াইয়ে সব থেকে বেশি শতকের কৃতিত্বটা এতদিন যৌথ ভাবে শচীন এবং কোহলির দখলে ছিল। দুজনেই আটটি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবার সে রেকর্ডে শচীনকে টপকালেন কোহলি। আর এ রেকর্ড গড়তে কোহলি শচীনের চেয়ে ম্যাচও কম খেলেছেন ৩৬টি। 

আরও একটি রেকর্ডের কাছে রয়েছেন কোহলি। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় প্রথম পাঁচে আসতে গেলে কোহলির দরকার ছিল ১৮০ রান। তার মধ্যে গুয়াহাটিতে ১১৩ রান করেছেন তিনি। অর্থাৎ আর ৬৭ রান করলে শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়বর্ধনেকে টপকে তালিকায় পাঁচ নম্বরে চলে আসবেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন শচীন। ৪৬৩টি ম্যাচ খেলে   ১৮৪২৬ রান করেছিলেন তিনি।

এছাড়া ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডে এখন শচীনের কাছাকাছি আছেন কোহলি। ওয়ানডেতে এখন কোহলির সেঞ্চুরি ৪৫টি। তালিকায় সবার উপরে থাকা শচীনের মোট সেঞ্চুরি ৪৯টি। অর্থাৎ আর ৫ বার তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারে পৌঁছাতে পারলে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান হবেন তিনি।

চট্টগ্রামের পর গুয়াহাটি, পর পর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৩তম শতক গড়তে ৭৩ বল খরচ করেছেন বিরাট। যদিও এই ইনিংসে দু’বার তার সহজ ক্যাচ ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। বিরাটের ক্যাচ ফেলা যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তা দেখলেন দাসুন শনাকার দল। বিরাটের ইনিংস শেষ হয় ৮৭ বলে ১১৩ রান করে।