চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর। এবারের আসর মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশের তিন ভেন্যুতে। ঢাকার বাইরে তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রাম এবং সিলেট। তবে ম্যাচের হিসেবে এই দুই ভেন্যুতে কম ম্যাচই মাঠে গড়াচ্ছে। ঠিক কি কারণে এই দুই ভেন্যুতে ম্যাচ কম এবার সেটার ব্যাখ্যা দিলেন নাজমুল হাসান পাপন।

সোমবার দুপুরে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পা রাখেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘খেলা দেওয়া যাবে না কেন? অবশ্যই দেওয়া যায়। সমস্যাটা হচ্ছে, আগে যতগুলো খেলা দেখেছি ঘরোয়া ক্রিকেট এবং বিপিএলে এরকম উৎসাহ-উদ্দীপনা আগে কখনও দেখিনি, এমনকি সিলেটেও। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের দর্শকরা মাঠে আসে কয়েকটা কারণে, একটা হচ্ছে অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট হতে হবে। এক তরফা দুইটা বা তিনটা দল খুবই শক্তিশালী, বাকিগুলো অনেক দুর্বল, এরকম হলে কিন্তু খেলা দেখে মজা নেই।’ 

পাপন যোগ করেন, ‘আমাদের সবসময় ইচ্ছে আরও দেওয়ার। কিন্তু আমাদের সূচি এত টাইট। আপনারা দেখেন না, এখানে তো দুই-চারদিন বের করার কোনো সুযোগ নেই। একটা ভেন্যু বাড়ালেই দুইদিন করে আসা-যাওয়া, চারদিন লাগবে। আরও একটা বাড়ালে আট দিন লাগবে। সামনের বছর বিপিএলের স্লটই আমরা এখন খুঁজে পাচ্ছি না। স্লট বের করাই অসম্ভব হয়ে গেছে। একটা পেয়েছি। কিন্তু মাঝে গ্যাপ দিতে হতে পারে, যদি নির্বাচন হয়। তখন আমরা নিরাপত্তা পাব কোথায়? সব তো নির্বাচনে থাকতে হবে। যখন আমরা সিদ্ধান্ত নিই, এটার পেছনে অবশ্যই একটা কারণ আছে।’ 

ঢাকার একটি ম্যাচের ‍প্রসঙ্গ টেনে পাপন বলেন, ‘ঢাকায় বরিশাল ও সিলেটের শেষ ম্যাচ ছিল দুপুর বেলায় ওয়ার্কিং ডেতে। আমার জীবনে আমি বিপিএলে লিগ পর্বের খেলায় ঢাকায় এরকম দর্শক দেখিনি। প্রায় পুরো স্টেডিয়াম।’ 

সিলেটের প্রসঙ্গ যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যখন বিপিএল শুরু হয় সিলেটে যখন টেবিল টপার হিসেবে এখানে আসে। ওদের খেলা দেখার জন্য কী মানুষ আসবে না? এটা কী বলেন? একে তো নামি-দামি খেলোয়াড় আছে আমাদের দেশের। আমাদের দেশের কিছু ক্রিকেটার আছে, তাদের দেখতেও প্রচুর দর্শক আসে। শুধু খেলা না, ওদের বিরাট ভক্ত আছে। ওদের জন্য প্রচুর মানুষ আছে।’ 

এসএইচ/এনইআর