এবারের বিপিএলে খুলনার বিপর্যয় যেন থামছেই না। ৯ ম্যাচে মাত্র দুই জয় নিয়ে এমনিতেই পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে দলটি। এবার ঢাকা পর্বের শেষ লেগেও প্রথম ম্যাচেই হারল শাই হোপের দল। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন ডিপার্টমেন্টেই আধিপত্য দেখিয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৪ রান করে বরিশাল। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কখনোই সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি খুলনা। ১৫৭ রানে থামে তাদের ইনিংস। ৩৭ রানের জয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে বরিশাল।

ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়েই দারুণ খেলেছে বরিশাল। ব্যক্তিগত ১২ রানে এনামুল বিজয় ফিরলে চাপ সামলে নেন ইব্রাহিম জাদরান এবং ফজলে রাব্বি। ৩৯ রানে রাব্বি এবং ২৩ রানে ফেরেন জাদরান। এরপর বড় জুটিতে সাকিব-ইফতেখার আভাস দেন বড় সংগ্রহের।

২১ বলে ৩৬ রান করে ফেরেন বরিশালেন অধিনায়ক সাকিব। তখনও ব্যাট হাতে অবিচল ইফতেখার। খুলনার বোলারদের একের পর এক চার ছয়ে করেন সীমানা ছাড়া। তুলে নেন নিজের আসরের দ্বিতীয় অর্ধ-শতক। শেষ দিকে করিম জানাত ৮ বলে ১৭ রান করেন। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ৪ রান। ৩১ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন ইফতেখার। বরিশাল থামে ১৯৪ রানে।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ৩ রানে ফেরেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর দ্রুত কিছু রান তোলেন শাই হোপ এবং অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নি। কিন্তু ১২ রান করে ব্যালবার্নি ফিরলে বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। ৭ রানের ব্যবধানে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয় এবং শাই হোপ। 

রানের গতি কমে এলে ধীরে ধীরে লড়াই থেকে ছিটকে যায় খুলনা। পঞ্চম উইকেটে তাই নাহিদুল ইসলাম ও ইয়াসির আলী রাব্বির ৭৪ রানের জুটি শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। ৩৮ বলে ৬০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে ইয়াসির ফেরেন করিম জানাতের বলে ক্যাচ হয়ে। ১৫৭ রানে থামে খুলনার ইনিংস। 

এনইআর