‘মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করছি মনে হওয়ার পর আমি মিউজিকে সম্পৃক্ত হই। কিছু কিছু সময় মোবাইল ব্যবহারে ক্লান্ত হয়ে উঠতাম। এজন্য নিজ থেকে উপলব্ধি করে মিউজিকে মনোযোগ দিই, যা আমাকে মোবাইল থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে।’

মোবাইল আসক্তি কমানোর প্রেক্ষাপট নিয়ে এরকই জানাচ্ছিলেন পাকিস্তানি মারকুটে ব্যাটার আজম খান। ক্রিকেটারদের মাঝে স্মার্টফোন কেন্দ্রীক অতিরিক্ত সময় ব্যয়ের যে প্রবণতা দেখা যায়, সেখানে তরুণ এই ক্রিকেটার ব্যতিক্রম বটে!

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলছেন আজম খান। খুলনার হয়ে চলতি আসরে ৯ ম্যাচ খেলে আজম রান করেছেন ২২৬।  ৪৫ দশমিক ২০ গড়ের সঙ্গে ব্যাট করেছেন ১৫৯ দশমিক ১৫ স্ট্রাইক রেটে। সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে আজম বলেছেন ফোন ফেলে গিটার হাতে নেওয়ার রহস্য।

আজম খান জানান, ‘মিউজিকে আমি সম্পৃক্ত হয়েছি কারণ আমার কাছে মনে হতো যে আমি মোবাইল বেশি ব্যবহার করছি। কিছু কিছু সময় যা আমাকে ক্লান্তও করে তুলতো। এজন্য নিজ থেকে উপলব্ধি করে মিউজিকে মনোযোগ দিই, যা আমাকে মোবাইল থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। সেখান থেকেই আমি হাতে গিটার তুলে নিই। পরে নিজে নিজেই গিটার বাজানো শিখি। কোনো ট্রেইনার ছিল না। ইউটিউব থেকেই শিখেছি।... আমি যখন কোনো ম্যাচ নিয়ে নার্ভাস হই, তখন গিটার হাতে নিই এবং কয়েকটি গান গাই।’

বাবা মইন খানকে দেখেই ক্রিকেটার হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন আজম, ‘বাবাকে দেখেই আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করি। তাকে মাঠে দেখা এবং টিভিতে তার খেলা দেখা আমার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল। এজন্য ক্রিকেটকে বেছে নেওয়া। আমার পড়াশোনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। সে কারণে আমার প্রাথমিক পরিকল্পনাই ছিল ক্রিকেট খেলা। আমি এখন বিশ্বজুড়ে খেলছি। উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে ভালো সময় যাচ্ছে আমার।’

বিপিএলকে ‘দারুণ ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা দারুণ একটা টুর্নামেন্ট। বিশেষ করে, বাংলাদেশি তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য বড় টুর্নামেন্ট এটি। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় খেলে তারা অনেক কিছু শিখবে। নিশ্চয়ই জানেন এখানকার উইকেট কঠিন। উপমহাদেশে যখন খেলবেন, তখন কঠিন উইকেটই পাবেন।’

চট্টগ্রামের চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি নিয়ে ভীষণ খুশি আজম, ‘আমি যখন সেঞ্চুরিটা পেলাম... আমার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকা। আমি খুব সুন্দর টাইমিং করছিলাম। তাই জানতাম যে আমার পক্ষে সেঞ্চুরি করা সম্ভব। এটা হয়েছে এবং এজন্য আমি খুব খুশি।’

এসএইচ/এএইচএস