সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তৌহিদ হৃদয়। দল শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিততে না পারলেও ব্যাট হাতে আসরজুড়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তরুণ এ ব্যাটার। এমন পারফরমম্যান্সের পুরস্কারটাও পেলেন হাতেনাতে। বিপিএলের ফাইনালে চলাকালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন হৃদয়।

২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তৌহিদ হৃদয়। এরপর থেকেই ছিলেন বিসিবি 'এ' দল বা এইচপি দলেও। তবে সবশেষ বিপিএলে ব্যাট হাতে সিলেটের হয়ে ১৩ ম্যাচের মধ্যে ১২ ইনিংস ব্যাট করে ৩৬.৬৩ গড় ও ১৪০.৪১ স্ট্রাইক রেটে ৪০৩ রান করেছেন হৃদয়। ছিলেন টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও।

জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার একদিন পর শুক্রবার ঢাকা পোস্টের কাছে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার অনূভুতি ব্যক্ত করেছেন তৌহিদ হৃদয়। কিছুটা আক্ষেপের সুরেই বললেন, বিপিএল জিততে পারলে ভালো লাগতো। 

জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়ে কেমন লাগছে?

তৌহিদ হৃদয়: জাতীয় দলে ডাক পেলে প্রতিটা খেলোয়াড়ের জন্য ভালো অনুভূতি হওয়ারই কথা। ‘আল্লাহর রহমত’, আমারও ভালো লাগছে ‘আলহামদুলিল্লাহ’।

বিপিএল থেকে জাতীয় দলে। বাসা থেকে কোনো কথা হয়েছে কি না?

তৌহিদ হৃদয়: না আসলে আমার বাসা থেকে খেলা নিয়ে কখনো তেমন কিছু বলে না। অতোটা কিছু বলে না কেননা বাবা-মা খুব একটা খেলা বুঝে না। তবে আমার ভালো খবর শুনলে তারাও খুশি হয়, আলহামদুল্লিাহ।

জাতীয় দলে ডাক পেলেন, তাও আবার বড় প্রতিপক্ষ বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। লক্ষ্য কি থাকবে?

তৌহিদ হৃদয়: এটা নিয়ে আপাতত তেমন ভাবছি না। যখন সময় হবে ভাববো।

আসরজুড়ে দারুণ ছন্দে থেকে ফাইনালে হেরে গেলেন। এ নিয়ে কি বলবেন?

তৌহিদ হৃদয়: ফাইনালে গিয়ে হার আপসেট কিংবা মন খারাপ কিছু না। তবে এটা ঠিক যে একটু খারাপ লাগছিল। কারণ আমরা যেভাবে পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছি সে অনুযায়ী এই ম্যাচটা শেষ করতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু হয়নি।

ফাইনালে কোথাও কি দুর্বলতা ছিল?

তৌহিদ হৃদয়: না আসলে সব ঠিক ছিল, সবই ঠিক ছিল। আমরা আসলে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছি সামনে আরো ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে কেমন করবে বাংলাদেশ?

তৌহিদ হৃদয়: এটা তো আসলে এত আগে বলতে পারবো না ভাই।

এসএইচ/এফআই