কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা চলছে। গুঞ্জন উঠেছিল ভাঙন ধরেছে বহুল আলোচিত এই তারকা দম্পতির সংসারে। যার কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায় দুজনের সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্টে। অনেকদিন ধরেই এসব মাধ্যমে একসঙ্গে দুজনের ছবি দেখা যায় না। তবে তাদের এই দূরত্বের পেছনে গণমাধ্যমকেই দায়ী করেছেন এক পাকিস্তানি অভিনেত্রী!

যাদের নিয়ে এত আলোচনা, সেই মালিক ও সানিয়া বরাবরই এ সম্পর্কে মুখে কুলুপ দিয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে সম্পর্ক ভাঙা কিংবা স্বাভাবিক থাকা; কোনো বিষয়েই মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দীর্ঘদিনের টেনিস ক্যারিয়ার থেকে সানিয়ার বিদায়ের দিনেও শোয়েব মাঠে হাজির ছিলেন না। এমনকি স্ত্রীকে নিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা দিতেও মালিকের লেগে যায় ১০ ঘণ্টা।

ভারত-পাকিস্তানের গণমাধ্যম যখন মালিক-সানিয়ার সম্পর্ক নিয়ে জোর আলোচনা চলছে, তখন বারবারই পাক অভিনেত্রী আয়েশা ওমরের নামটি সামনে এসেছে। কেননা, ২০২১ সালে এই অভিনেত্রীর সঙ্গে একটি ম্যাগাজিনের জন্য বোল্ড ফটোশ্যুট করেন মালিক। আর সেখান থেকেই নাকি দুজনের সম্পর্কে গভীর হয় বলে গুঞ্জন ওঠে। সে সময় অভিনেত্রী আয়েশাকেও কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। এছাড়া, মালিকের সঙ্গে দেশটির খ্যাতনামা আরেক অভিনেত্রী মাহিরা খানেরও নাম জড়ায়।

সম্প্রতি মালিক ও সানিয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন আয়েশা। তিনি শোয়েব আখতার আয়োজিত একটি চ্যাট শোতে হাজির হয়েছিলেন। কথা প্রসঙ্গ উঠলে সেখানে তিনি ‘গুজব রটানো’র জন্য ভারতকে দায়ী করেন। তবে ভারত বলতে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথাই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সেটা সহজেই অনুমেয়!

আয়েশা বলছেন, ‘আমি কখনই বিবাহিত বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট না। সবাই আমাকে জানে এবং এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এসব গুজব প্রথমে সীমান্তের ওপারের গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরে এই দেশের গণমাধ্যমে তা তুলে ধরে।’

মালিক-সানিয়া দম্পতির যুগল জীবন শুরু হয় ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল।  ২০১৮ সালে সানিয়া-মালিকের ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান ইজহান মির্জা মালিক। বর্তমানে মায়ের সঙ্গেই রয়েছে ইজহান। 

এএইচএস