ভারতের ক্রিকেটার হলেও বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলীর। সৌরভ নিজেই আরও একবার স্বচক্ষে দেখলেন সেটা। বৃহস্পতিবার বেলা চারটার পর যখন মেয়র’স কাপ উদ্বোধনের জন্যে হোটেলে এসে পৌঁছালেন, এরপর চারপাশের লাইট ক্যামেরায় তাকালেন। দেখলেন, বুজলেন এবং পরবর্তীতে জানালেন, ঢাকা আসলে ভুলে যান তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন।  

মঞ্চে কথা বলার সময় সৌরভ ফিরে গেলেন ২০০১ সালে। মনে করলেন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ক্যারিয়ারের অভিষেক ম্যাচের কথা। সেই ম্যাচে সৌরভের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিল ভারত। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সৌরভের সৌরভের একটি কথা আলোচনায়, সেই ম্যাচে নাকি বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের শঙ্কায় ছিলেন তিনি। ৮ বছর পর বাংলাদেশে এসে ২৩ বছর আগের সেই কথা মনে করলেন কলকাতার এই যুবরাজ। 

২৩ বছর পরও গাঙ্গুলীর স্মৃতিতে অম্লান সেই দিন, ‘আমার প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব বাংলাদেশের মাটিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম সবসময় জড়িয়ে থাকবে। কারণ ওটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ, ২০০১ সালে (আসলে ২০০০)। আর আমার প্রথম টেস্ট ভারতের অধিনায়ক হিসেবে।’

সৌরভ যোগ করেন, ‘আমার এখনও মনে আছে, তখনও নতুন স্টেডিয়াম হয়নি (মিরপুর শের-ই-বাংলা)। পুরনো স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। বাংলাদেশ মনে হয় প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল। তারপর যখন ড্রেসিং রুমে ঢুকি আমি, আমার মনে হলো, এ কী! আমি অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম ম্যাচ হেরে যাব। তারপর আমরা ফিরে এসে টেস্ট ম্যাচটা জিতি।

সেদিন টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। তবে প্রথমে ভারত টসে জিতলে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতেন কিনা এমন প্রশ্নে সৌরভ বলছেন, ‘না! পাঠাতাম না। আমি টসে হেরে গিয়েছিলাম, ওরা ব্যাট করেছিল। ঠিকই করেছিল। কারণ এত ভালো উইকেট। তখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের উইকেট এত ভালো ছিল যে আমি তো ওপেন করতাম। যখন আমি আর শচীন ব্যাটিং করতে যেতাম, উইকেটে শাইন হতো। দেখে বোঝা যেত, কত ভালো উইকেট। আর ভালো উইকেটে কখনও প্রতিপক্ষকে ব্যাটিং করতে দিতে নেই (হাসি)।’ 

এসএইচ/এনইআর