ভারতের অধিনায়ক হিসেবে বেশ লম্বা একটা সময় দায়িত্বে ছিলেন বিরাট কোহলি। ব্যাটার হিসেবে চূড়ান্ত সফল বিরাট অধিনায়ক হিসেবেও কম সফল ছিলেন না। তার আমলেই ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার করেছে ভারত। তবুও একটা অপ্রাপ্তি রয়েই গেছে। আইসিসি ইভেন্টে একবারও ট্রফি জেতাতে পারেননি সাবেক এ অধিনায়ক।

বিরাটের অধিনায়কত্বে কয়েকবারই ট্রফির কাছাকাছি গিয়েছিল ভারত।  ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ফাইনালে ওঠা দলটা শিরোপার মঞ্চে পাকিস্তানের কাছে হোঁচট খায়। দুই বছর পরে বিশ্বকাপেও ফেভারিট ছিল কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত দল। তবে সেমিফাইনালে এসে আবারও ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন। 

২০২১ সালেও ফাইনালের ধাক্কা। টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে প্রথম ইনিংসেও এগিয়েই ছিল ভারত। তবে শেষটা যেন এবারেও ধোঁকা দিয়েছে ভারতকে। কিন্তু কোহলির ব্যর্থতায় শেষ পেরেকটা ঠুকেছে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ভারত।

ব্যর্থতার দায়ে বিশ্বকাপের পরেই অধিনায়কত্ব ছাড়েন কোহলি। একই বছর তাকে ছাড়তে হয় ওয়ানডের অধিনায়কত্বও।  ঘটনার প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। এমন সময় অধিনায়কত্ব নিয়ে আবারও মুখ খুললেন কোহলি। তবে এবার কোহলির সহজ স্বীকারোক্তি, আইসিসি ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে ব্যর্থ মনে করেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। 

আইপিএলে অনেক বছর ধরেই রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাংগোলোরের হয়ে খেলছেন বিরাট। মাঝে একবার অধিনায়কত্ব ছাড়লেও এবার আবার অধিনায়ক হচ্ছেন এই তারকা ব্যাটার। আরসিবি পডকাস্টে বিরাটকে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সবাই তো জেতার জন্যই খেলতে নামে। আমিও সেই ভাবনা নিয়েই অধিনায়কত্ব করেছি। তবে আইসিসি ইভেন্টে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে হারতে হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সেমি ফাইনাল থেকেও বিদায় নিয়েছিলাম। এমনকি ২০২১ সালে বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে হারের পর, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেও আমার অধিনায়কত্বে দল বিদায় নিয়েছিল। তাই নিজেকে ব্যর্থ অধিনায়ক বলতেই পারি।’

এনইআর