প্রথম ম্যাচের বিপরীত চিত্র সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। রানখরা মিরপুর রাতারাতি বনে গেল রানপ্রসবা। বাংলাদেশের বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনো করলেন সফরকারীরা। শুরুটা করেছিলেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। তার ঝোড়ো সেঞ্চুরির পর ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন অধিনায়ক জস বাটলার। আর শেষ দিকে চড়াও হলেন মঈন আলি ও স্যাম কারান। স্বাগতিক বোলারদের ব্যর্থতার দিনে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে ইংলিশরা। সিরিজ বাঁচাতে ৩২৭ রান করতে হবে তামিম ইকবাল বাহিনীকে। 

টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন তাসকিন আহমেদ।

শুক্রবার (০৩ মার্চ) মিরপুর শের-ই বাংলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। তাসকিনের করা অফ স্ট্যাম্পের বল সল্টের ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে ক্যাচ উঠলে সেই ক্যাচ দারুণভাবে তালুবন্দি করেন নাজমুল শান্ত। 

প্রথম ধাক্কার পর রয় আর মালান মিলে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড মালানকে আজ টিকতে দিলেন না মিরাজ। বোলিংয়ে এসে নিজের তৃতীয় ডেলিভারিতেই মালানকে তুলে নেন টাইগার এ অফ স্পিনার। এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে ১৯ বলে ১১ রান করে ফিরলেন প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক। 

২১তম ওভারে ভিন্সকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন তাইজুল। ১৬ বলে ৫ রান করে ফেরেন ভিন্স। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পরও রানের চাকা সচল রেখেছে ইংলিশ ব্যাটাররা। তাদের কাজটা আরও সহজ করেছে বাংলাদেশি বোলারদের নির্বিশ বোলিং ও বাজে ফিল্ডিং।

স্রেফ ১৩ রানের ব্যবধানে ডেভিড মালান ও জেমস ভিন্সের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সেই আশায় বাধ সাধেন জেসন রয় ও জস বাটলার। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ১০৯ রানের সেই জুটি ভাঙেন সাকিব।

ব্যক্তিগত ১৩২ রানের মাথায় বিধ্বংসী রয়কে ফেরান সাকিব। এরপর তাসকিনের বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন উইল জ্যাকস। তখনো ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে চলছিলেন বাটলার। তবে ৭৬ রানের মাথায় মিরাজের বলে কাটা পড়েন এই অধিনায়ক। 

শেষ দিকে মঈন আলি এবং স্যাম কারানের ক্যামিওতে ভর করে দলীয় রান তিনশ পার করে ইংল্যান্ড। মঈন ৪২ রানে ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত অবিচল ছিলেন কারান। ইংলিশ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিনের ৩ উইকেট ছাড়া মেহেদী মিরাজ নেন ২ উইকেট। 

এসএইচ/এফআই