নড়াইল সুপার লিগের এবারের আসরের ফাইনালে এসএম সুলতান একাদশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিজয় সরকার একাদশ। ফাইনালের বড় মঞ্চে অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুনিম শাহরিয়ার।

রোববারের (৫ মার্চ) ফাইনালে নড়াইল বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য সহায় ছিল বিজয় সরকার একাদশের অধিনায়ক শামসুর রহমানের। টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি এস এম সুলতান একাদশ।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে এস এম সুলতান একাদশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সুলতান একাদশের বোলারদের রীতিমতো কচুকাটা করেছেন মুনিম। এই ওপেনারের অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৫তম ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বিজয় একাদশ। 

ফাইনালে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন বিজয় সরকার একাদশের মুনিম। টুর্নামেন্টের সেরার পুরস্কার জিতেছেন সোহানুর রহমান সোহান। আসরে ব্যাট হাতে ২৩৫ রান ও বল হাতে ৬ উইকেট শিকার করেছেন এই অলরাউন্ডার। 

খেলায় ট্রফির পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ান দল পেয়েছে ৫ লক্ষ টাকা এবং রানার্সআপ  দল পেয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। 

এই আসরের ফাইনাল ঘিরে তারকা ক্রিকেটারদের মেলা বসেছিল নড়াইলে। এই তালিকায় আছেন নাসির হোসেন, ইরফান, মুনীম শাহরিয়ার, শামসুর রহমান শুভ, এনামুল হক জুনিয়র, রিপন, সৈকত, শুভর মতো তারকারা।

উৎসবমুখর নড়াইল সুপার লীগের ফাইনাল খেলায় তারকা খেলোয়ারদের খেলা দেখতে বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জনতার ঢল নামে। বলে বলে চিৎকার করে খেলোয়ার ও দর্শকদের উৎসাহিত করেন গ্যালারি ভর্তি দর্শকেরা। এসময় মাশরাফি মাঠে থেকে সম্পূর্ন খেলা উপোভোগ করেন। 

খেলা শেষে বিজয়ী ও রানারআপ দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করেন টি-স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী ইশতিয়কি সাদেক, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাদিরা খাতুন, নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট উপ-পরিষদের সভাপতি আইয়ুব খান (বুলু), ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ মুন্নু।

এই টুর্নামেন্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও আ.লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মোর্তজা।

আয়োজন সম্পর্কে মাশরাফি ঢাকা পোস্টকে বলেন, 'যেহেতু নড়াইলে ক্রিকেটটা সেভাবে এগোচ্ছে না। এখানে লীগও ঠিকমত হয়না। সেটা মাথায় রেখে খেলার আয়োজন করা। যাতে লোকাল প্লেয়াররা খেলার সুযোগ পায়। এটা নড়াইল সুপার লীগের দ্বিতীয় আসর। এ ধরনের সফল আয়োজন করায় আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে প্রতি ম্যাচে জাতীয় দলের আশেপাশে বা খেলেছে এমন সব প্লেয়ারদের খেলানো হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে পড়াশোনার পাশাপাশি মাঠমুখি করতে ইনশাআল্লাহ সকলের সার্বিক সহোযোগিতা নিয়ে প্রতিবছর আয়োজন করবো।'

এর আগে পাঁচ দলের অংশগ্রহণে গত ২০ ফেব্রুয়ারি পর্দা ওঠে এই আসরের। 

সজিব রহমান/এইচজেএস