প্রথম দফায় করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছিল নিউজিল্যান্ডগামী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা/ফাইল ছবি

করোনার টিকাদান কর্মসূচির শুরুর প্রক্রিয়াটা এতটা সহজ ছিল না। নিউজিল্যান্ড যাওয়ার আগে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ভিড় ঠেকে টিকা নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। এদের কয়েকজন তড়িঘড়ি করে নিজ এলাকা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন টিকা নেওয়ার জন্য। তবে আসন্ন জাতীয় ক্রিকেট লিগ সামনে রেখে ক্রিকেটারদের টিকাদান কর্মসূচি সহজ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগের এক কর্তা ঢাকা পোস্টকে জানান, ‘সামনে এনসিএল শুরু হচ্ছে। এর জন্য আমর ক্রিকেটারদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে এসেছি। এজন্য তাদের ঢাকা বা নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সবাই চাইলে নিজ নিজ এলাকা বা সুবিধাজনক জায়গা থেকেই টিকা নিতে পারবেন।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। তবে শুরুর ধাপে জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারও টিকা নেওয়ার সুযোগ পাননি। শুধুমাত্র যারা নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য বিবেচিত হয়েছেন, তারা অগ্রাধিকার পেয়েছেন। সঙ্গে জাতীয় দলের সাপোর্ট স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্ট। এরপর একই জায়গায় টিকা নিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সদস্যরা।

আগামী ২২ মার্চ থেকে এনসিএলের আসন্ন মৌসুম মাঠে গড়ানোর কথা। এজন্য লিগ শুরুর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলোয়াড়দের করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে বিসিবি। যে প্রক্রিয়া গত শনিবার থেকে শুরু হলেও গতি পেয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে। এ দফায় খেলোয়াড় আর সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে সর্বমোট ২০৭ জনের টিকার জন্য সুপারিশ করবে বিসিবি।

সেই কর্তা জানালেন, ‘খেলোয়াড়রা সুবিধাজনক জায়গা থেকে টিকা নিলেও পুরো প্রক্রিয়াটা বিসিবির মাধ্যমেই হচ্ছে। তারা শুরুতে বোর্ডে নিবন্ধন করছেন। এরপর আমরা তাদেরকে একটি ফর্ম পাঠাচ্ছি। সেটি যেকোনো জায়গায় নিয়ে গেলেই তারা টিকা নিতে পারবেন। এ দফায় ১৭৮ জন ক্রিকেটার ও ২৯ জন সাপোর্ট স্টাফের সদস্য টিকার আওতায় আসবেন।’

টিআইএস/এনইউ/এটি