বিপিএলের ফর্মটাকে টেনে আনলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে ওডিআইতে কোনো ফিফটি ছিল না শান্তর। ইংলিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দুটিতেই ফিফটি পেয়েছেন। শান্তর ব্যাট হেসেছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে  শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে খেলতে থাকে বাংলাদেশ দল। প্রায় ৮ বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার আগ্রাসী ইনিংস খেললেও পারেননি দীর্ঘ করতে। ১৪ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন টাইগার এই ওপেনার। এরপরের গল্পটা শান্তর। জোফরা আর্চার, স্যাম কারান, আদিল রশিদ কাউকেই ছাড় দেননি শান্ত। মার্ক উডের ৪ বলে ৪ টা চারই হাঁকিয়ে বসে বাঁহাতি এই ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে শান্তকে সঙ্গ দিয়ে চলছিলেন অভিষিক্ত হৃদয়। ২৭ বলে শান্ত তুলে নেন অর্ধ-শতক। 

অর্ধ-শতক করে শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫১ রানে থাকা অবস্থায় উডের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টাইগার এই ব্যাটার। বাকি গল্পটা আফিফ হোসেনকে নিয়ে শেষ করেছেন সাকিব। এই দুই ব্যাটারের ৪৬ রানের জুটিতে ভর করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। আফিফ থাকেন ১৩ রানে অরপরাজিত। ইংলিশদের হয়ে ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন জোফরা আর্চার, মঈন আলি, আদিল রশিদ এবং মার্ক উড।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে শান্তর হাতে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন অন্যদেরও। বলেন, ‘তৌহিদ খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। আমি বল দেখে খেলছিলাম এবং ক্রিকেটীয় শট খেলে যাচ্ছিলাম। দুই উইকেট হারানোর পরও চিন্তিত হইনি। বোলাররা বিশেষ করে তাসকিন ও হাসান যেভাবে বোলিং করেছে এক কথায় দুর্দান্ত। রনি ও লিটন ইনিংসের শুরুটা করে দিয়ে গিয়েছিল, যা টি-টোয়েন্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

এফআই