কদিন আগেও ফর্মের মধ্যগগণে ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। মাঠের চারিদিকে তার শট খেলার দক্ষতা, বিধ্বংসী ব্যাটিং অল্প সময়েই নন্দিত হয় ক্রিকেট বিশ্বে। ব্যাটারদের র‌্যাংকিংয়েও তর তর করে এগোচ্ছিলেন। আইসিসির টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র‌্যাংকিংয়ে এখনো শীর্ষে আছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে সব গোলমাল বাধিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় এ ব্যাটার। পরপর তিনটি ওয়াডেতেই রানের খাতা খোলার সুযোগ পেলেন না। আউট হয়ে গেছেন প্রথম বলেই। গোল্ডেন ডাকের হ্যাটট্রিক গড়লেন টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা এ ব্যাটার। একদিনের ক্রিকেটে তার জায়গা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

মুম্বাইয়ে প্রথম একদিনের ম্যাচে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন সূর্য। মিচেল স্টার্কের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান তিনি। পরের ম্যাচে বিশাখাপত্তনমেও একই ছবি। আবার স্টার্কের বলে প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন টি-টোয়েন্টির নাম্বার ওয়ান ব্যাটার। সর্বশেষ আজ (বুধবার) চেন্নাইয়ে তৃতীয় ম্যাচে আর চার নম্বরে তাকে নামায়নি ম্যানেজমেন্ট। তার আগে লোকেশ রাহুল, অক্ষর প্যাটেল, হার্দিক পান্ডিয়াকে নামানো হয়। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন তিনি। কিন্তু তাতেও ছবিটা বদলায়নি। অ্যাস্টন অ্যাগারের প্রথম বলেই বোল্ড হন সূর্য।

একটি ম্যাচে কোনো ব্যাটার রান নাই পেতে পারেন। কিন্তু যখন পরপর তিনটি ম্যাচে কেউ শূন্য রানে আউট হয় তখন প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। সূর্যকে নিয়েও তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যতই টি-টোয়েন্টিতে তিনি ভালো খেলুন না কেন, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলে তার জায়গা ধীরে ধীরে আলগা হচ্ছে বলেই মনে করছে দেশটির গণমাধ্যম। 

সূর্যের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক জাতীয় নির্বাচক সাবা করিম। একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে সাবা বলেছেন, ‘সূর্যকে শ্রেয়াসের বিকল্প হিসেবে ভেবেছিল ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সূর্য রান করতে পারেনি। আমি নিশ্চিত, শ্রেয়াস চোট সারিয়ে ফিরলে ওকে আবার চার নম্বরে খেলানো হবে। কারণ, ওই জায়গায় শ্রেয়াস ভাল খেলেছে। কিন্তু সূর্য এই পরিস্থিতিতে একটা রহস্যের মতো। কেন ও রান পাচ্ছে না কেউ বুঝতে পারছে না।’

ওয়ানডে ক্রিকেটে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ বার অর্ধশতরান করেছিলেন সূর্য। তারপর থেকে শেষ ১৭টি ম্যাচে তার সর্বোচ্চ রান ৩৪। ভারতের হয়ে ২৩টি একদিনের ক্রিকেটে ৪৩৩ রান করেছেন সূর্য। গড় মাত্র ২৫.০৪। ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে ভরসা জাগাতে পারছেন না সূর্য। তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এফআই