ছবি: সংগৃহীত

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ মাঠে গড়ানোর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার বড় খোরাক ছিল তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সে সময় বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন 'ক্রিকবাজকে' দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন সাকিব-তামিম একই দলে খেললেও একে-অপরের সঙ্গে কথা বলেন না। তবে এই দুই তারকা সে সব ভুল প্রমাণ করেছেন মাঠের ক্রিকেটে। 

শুরুতে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের আগের দিন মিরপুরের ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় দুজনকে কথা বলতে দেখা যায়। এরপর সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সাকিবের বলে জেসন রয়ের ক্যাচ ধরেন তামিম। এরপর দুজনকেই হাতে হাত মেলাতে দেখা যায়, কথা বলতেও দেখা যায়। একই ম্যাচে বিভিন্ন সময়ই সাকিব তামিমকে দেখা গিয়েছিল কথা বলতে।

এরপর চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডের আগে পিচ দেখতে মাঝ মাঠ থেকে সাকিব, এ্যই সাকিব বলে হাঁক শোনা গিয়েছিল তামিমের। সাকিবও বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটেছিল মাঝ মাঠে। এভাবেই চলেছে কথার আদান প্রদান। মাঠের বাইরের বন্ধুত্ব, হয়ত মাঠে দেখা যায় না। তবে মাঠের মধ্যের বন্ধুত্ব যে হারিয়ে যায়নি সেটা স্পষ্ট। 

এই ধরুণ আইয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। এরপর ট্রফি নিয়ে উদযাপন করার সময় দেখা গেল সাকিবের পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন তামিম। এরপর দুই বন্ধুর একই ভঙ্গিতে দুই আঙুল উঁচিয়ে ভিক্টোরি চিহ্ন দেখানো। সঙ্গে মুখে এক চিলতি হাসি। ছবিতে সেই হাসিটা এমন লাগছে যেন কালো মেঘ সরিয়ে সম্পর্কের পূর্ব আকাশের সূর্যের উদয়। 

সাকিব কিংবা তামিম তারা তো আলাদা মেরুর কেউ নয়। তারা জিতলেই জিতে যায় বাংলাদেশ। তাদের হাত ধরেই চলতে থাকুক বাংলাদেশের ক্রিকেট। পার্থ বড়ুয়ার একটা গানের লাইন খুব করে মনে পড়ছে, 'দেখা হবে বন্ধু, কারণে আর অকারণে। দেখা হবে বন্ধু চাপা কোনো অভিমানে।'

এসএইচ/এইচজেএস