ঈদ মানে অফুরন্ত আনন্দ, খুশি আর স্বজনদের অনাবিল ভালোবাসায় ডুব দেওয়া। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বড় দুটি খুশির দিনের মধ্যে একটি পবিত্র ঈদুল ফিতর। পবিত্রতার সঙ্গে রমজান মাস পার করেই আসে প্রতীক্ষিত সেই ঈদ। দিনটি বিশ্বের নানাপ্রান্তের মুসলিমরা নানা আয়োজনে পালন করছে। এমন আনন্দের দিনেও ছোট বেলার ঈদকে খুঁজে ফিরছেন জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকির হাসান। 

নিজেদের ঈদ উদযাপন নিয়ে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের দুই তরুণ ক্রিকেটার। বলছেন সেই পুরনো দিনের কথা। একইসঙ্গে তুলনায় নেমেছেন এখনকার ঈদের সঙ্গে। তবে তাদের দু’জনই এক জায়গায় একমত রয়েছেন। তা হলো ছোট বেলার ঈদের স্মৃতি হাতড়ে বেড়ানো। মনের গহীনে লেগে থাকা সেই দিনের প্রতি রয়েছে এখনো ভালোবাসার অদ্ভুত এক মায়া। চাঁদ রাত থেকে শুরু হওয়া সেই ঈদ চলতে থাকে পরবর্তী ২-৩ দিন ধরে।

আরও পড়ুন >> ঈদের দিনে মাগুরায় ব্যাট হাতে সাকিব

ঈদের প্রসঙ্গ উঠতেই মিরাজের প্রাণোচ্ছল উত্তর, ‘প্রথমত ঈদের শুভেচ্ছা। আসলে ছোট বেলার ঈদকে সবসময় মিস করি। কারণ ওই সময় তো আর ফিরে আসবে না। প্রচুর ঘোরাঘুরি করতাম, সবকিছু উপভোগ করার চেষ্টা করতাম। চাঁদ রাত থেকেই শুরু হতো সেই আনন্দ।’

ঈদের পোশাকে পরিবারের সঙ্গে মিরাজ

সেই ঈদকে এখনও ফিরে ফিতে মন আনচান করে মিরাজের, ‘ছোট বেলায় যে মেলায় ঘুরতে যেতাম। চরকায় বা নাগরদোলায় উঠতাম ওগুলো খুব মিস করি আসলে।’

আন্তর্জাতিক ম্যাচের বিরতি থাকায় এবার দেশে ঈদ করছেন এই অলরাউন্ডার। দেশের বাইরে থাকাকালে ঈদ কেমন কাটে, সেই প্রসঙ্গে মিরাজের মন্তব্য, ‘দেশের বাইরে ঈদ করলে একটু হতাশ লাগে। কারণ সবসময় তো খেলার মধ্যে থাকা হয়, একটা প্রেশার কাজ করে। আর মনে করেন তখন তো পরিবারের কেউ থাকে না। খারাপই লাগে আসলে।’

এরপরই মিরাজ বর্তমান ঈদের কথা টানলেন, ‘আজকে দেখেন পরিবারের সবাই পাশে আছে, একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। বাবা-মা, আমার স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে খুব ভালো লাগছে, দারুণ কাটছে সময়। দেশে ঈদ করার মজা অন্যরকম, ভালো লাগে খুব। এ আনন্দ লিখে বা মুখে বলে প্রকাশ করার মতো না।’

মায়ের সঙ্গে জাকির (ফাইল ছবি)

এদিকে জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার জাকির হাসানও জানালেন ঈদ নিয়ে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার কথা। কেননা জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর এবারই প্রথম ঈদ কাটাচ্ছেন এই বাঁ-হাতি ক্রিকেটার। ভালোবাসা পাচ্ছেন সবার কাছ থেকে। তবে অন্যান্য বারের চেয়ে কোনো পার্থক্য দেখছেন না জাকির, ‘কোনো পার্থক্য তো দেখছি না আসলে। আগের মতোই যে রকম যায় আরকি। বাসায় আসছি; আম্মু, ভাইয়া সবার সঙ্গে মিলেই ঈদ করছি। এখনও ভিন্ন কিছু ঘটেনি।’

মিরাজ বলেন, ‘পরিবারের সবাই পাশে আছে, একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। বাবা-মা, আমার স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে খুব ভালো লাগছে, দারুণ কাটছে সময়। দেশে ঈদ করার মজা অন্যরকম, ভালো লাগে খুব। এ আনন্দ লিখে বা মুখে বলে প্রকাশ করার মতো না।’

ঈদের দিনের কুশল বিনিময় প্রসঙ্গে এই ক্রিকেটার বলছেন, ‘আমাদের অঞ্চলে আগে থেকেই আমাকে সবাই চিনে, জানে। তাই জাতীয় দলের পরিচয় নতুন করে নামের সঙ্গে যুক্ত হলেও এখন সবার কাছে সেটা স্বাভাবিক। আগের মতোই সবাই কথা বলছে ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। তবে সবাই যেভাবে নিজ থেকে এসে কথা বলছে, এটা আসলে অন্যরকম ভালো লাগার।’

জাকিরের মনে এখনও সতেজ ছোটবেলার ঈদ, ‘অবশ্যই মিস করি, খুব মনে পড়ে। কেননা খুবই মজার ছিল ছোট বেলার ঈদ। এখনকার থেকে তখন খুব বেশি সালামি পেতাম। এখন একটু কম পাই। তবে সবচেয়ে বেশি মিস করি আব্বুকে। সকাল থেকে দিনের শেষ ভাগ পর্যন্ত সব কাজেই আব্বুকে খুব মনে পড়ে।’

ছোট বেলার ঈদ উদযাপনের কথা ওঠতেই চওড়া হাসি জাকিরের, ‘অবশ্যই মিস করি, খুব মনে পড়ে। কেননা খুবই মজার ছিল ছোট বেলার ঈদ। এখনকার থেকে তখন খুব বেশি সালামি পেতাম। এখন একটু কম পাই। তবে সবচেয়ে বেশি মিস করি আব্বুকে। সকাল থেকে দিনের শেষ ভাগ পর্যন্ত সব কাজেই আব্বুকে খুব মনে পড়ে।’

এসএইচ/এএইচএস