হার দিয়ে আইপিএলের ১৬তম আসর শুরু করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। তবে এরপরই তারা পরপর দুই ম্যাচ জিতে ভিন্ন কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের দলটির সেই ফর্ম স্থায়ী হয়নি। এরপরই কেকেআর টানা চার ম্যাচ হেরে বসে। সেসব ম্যাচে বার্জে ফর্মের কারণে একাদশে টানা সুযোগ পাওয়া সুনীল নারিন ও আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অতীত অভিজ্ঞতার কারণেই তারা একাদশে জায়গা করে নিচ্ছেন কিনা, এমন প্রশ্ন দর্শকদের! এবার দলের দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে কথা বলেছেন কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত।

কেকেআরের হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই খেলছেন নারিন ও রাসেল। এরপর দলটির স্কোয়াডে প্রায় প্রতিবছরই পরিবর্তন এসেছে। বদলানো হয়েছে একাধিক অধিনায়কও, তবুও নারিন-রাসেলের ওপর আস্থা অটুট রয়েছে কলকাতার। সেই আস্থার প্রতিদান তারা আগে অনেকবারই দিয়েছেন। বল হাতে নারাইনের ঘূর্ণি কিংবা কখনও কখনও ব্যাটেও ঝলক, আবার বলের চেয়ে ব্যাটে বেশি আগ্রাসী রাসেলের দেখা মিলেছে। কিন্তু চলমান আসরে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না দুই ওয়েস্ট উইন্ডিজ অলরাউন্ডার। সেই কারণে বারবারই নানা দিক থেকে তাদের বাদ দেওয়ার জোর দাবি উঠছে।

তাদের প্রসঙ্গে চলমান আলোচনায় এতদিন পর্যন্ত কেকেআর টিম প্যানেলে কাউকে কথা বলতে দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন দলটির কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তার সেই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ঘুরেফিরে কেকেআরে দুই ক্রিকেটারের সেই পুরনো অভিজ্ঞতাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন নীতিশ রানাদের গুরু।

কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত

কোচ চন্দ্রকান্ত বলছেন, ‘এখনই সুনীল নারিন ও আন্দ্রে রাসেলের ফর্ম নিয়ে বেশিকিছু ভাবছি না আমি। ওরা এই দলের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। ফলে অভিজ্ঞতা অনেক। এই মুহূর্তে সময়টা খারাপ যাচ্ছে। তবে আমার আশা খুব তাড়াতাড়ি ওরা আগের মতো ফর্মে ফিরবে। কারণ এই দুই ক্রিকেটার ছাড়া কলকাতা দল অসম্পূর্ণ। এখনই আমি হাল ছেড়ে দিচ্ছি না।’

সর্বশেষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিপক্ষের ম্যাচে জয় পেয়েছে কলকাতা। যা দিয়ে এখন পর্যন্ত তারা আসরের ৮টি ম্যাচের তিনটিতে জয় পেয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে অনেক খবর পাওয়া যায়, যা একজন মানুষকে দুর্বল করে তোলে। তাই আমি সামাজিক মাধ্যম থেকে ক্রিকেটারদের দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছি।’

এখন পর্যন্ত কেকেআরের প্রতি ম্যাচের একাদশে ছিলেন নারিন-রাসেল। প্রথম তিন ম্যাচে চোটের কারণে বল করতে পারেননি রাসেল। পরবর্তী পাঁচ ম্যাচে তার বোলিংয়ে চিত্রটা এমন- ২.১ ওভারে ২২ রানে ১ উইকেট। ১ ওভারে ১৭ রান। ১ ওভারে ১২। ১ ওভারে ১৭ রান। ৪ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট।

তবে আট ম্যাচের সবকটিতেই ব্যাট করেছেন রাসেল। সেসব ম্যাচে তার পারফরম্যান্স- ৩৫ রান (১৯ বল), ০ (১ বল), ১ রান (২ বল), ৩ রান (৬ বল), ২১ রান (১১ বল), ৩৮ রান (৩১ বল), ৯ রান (৬ বল), ১ রান (২ বল)।
            
অন্যদিকে, সুনীল নারিন প্রতি ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। একটি ম্যাচে তিনি ওপেন করেছেন। এছাড়া দ্রুত উইকেটের পতনে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি ব্যাট করার। তবে সেসব ম্যাচে জ্বলে ওঠতে পারেনি নারিনের ব্যাট। বল হাতে নিয়মিতই পারফর্ম করেছেন এই উইন্ডিজ বিশেষজ্ঞ স্পিনার। ৮ ম্যাচে তার বোলিং পরিসংখ্যান-  ৪০-১-৪, ১৬-২-৪, ৩৩-৩-৪, ২৮-০-৪, ৩-০-৪১, ৪-০-৩৬, ২-০-২৩, ৪-০-৪১।

এএইচএস