শিরোপা পুনরুদ্ধার আবাহনীর
ছবি: সংগৃহীত
প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে হতাশায় ডুবিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিতেছিল শেখ জামাল। তবে পরের আসরেই শিরোপা পুনরুদ্ধার করল মোসাদ্দেক হোসেনের দল। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ৪ উইকেটে জিতেছে আবাহনী। সব মিলিয়ে ঢাকার শীর্ষ ক্লাব টুর্নামেন্টে ২২তম শিরোপা জিতল আবাহনী। ২০১৩-১৪ মৌসুমে লিস্ট 'এ' মর্যাদা পাওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগে তাদের পঞ্চম শিরোপা এটি। আর কোনো দল জেতেনি একাধিকবার।
২৮৩ রানের লক্ষ্য ৪ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলেছে আবাহনী। এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করেছিল শেখ জামাল।
বিজ্ঞাপন
বড় লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল আবাহনী। নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে শুরু থেকে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন দলটি। উদ্বোধনী জুটিতে কোন উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান স্কোরবোর্ডে তোলেন দুজন। এরপর শেখ জামালের বোলারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে একশো রানের জুটি গড়ে ফেলেন তারা। তাদের ব্যাটে দেড়শোর পথেও এগোচ্ছিল আবাহনী।
দুই ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু দলীয় ১৪৫ রানে তাইবুর রহমানকে সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে আরিফ আহমেদের তালুবন্দি হন নাঈম। ৭৯ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন তিনি। এর ৪ রান পরই সাজঘরে ফেরেন বিজয়।
বিজ্ঞাপন
আরিফকে সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন এই ব্যাটার। ৮১ বলে ফেরেন ৭২ রান করে। খানিক পর তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়ও বিদায় নেন দ্রুত। ১৮ বলে ৯ রান করে তাইবুরের শিকার হরে ফেরেন তিনি। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পরে আবাহনী।
জাকের আলী অনিক ও আফিফ হোসেন মিলে হাল ধরে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। তবে দলীয় রান ২০০ হওয়ার আগে অনিক ফেরেন ২৮ বলে ২১ রান করে। তবে সঙ্গী হারালেও মোসাদ্দেককে নিয়ে জুটি গড়ে জয়ের পথে হাঁটতে থাকেন আফিফ।
দলকে ২৫০'র ঘরে নিয়ে গিয়ে মোসাদ্দেক ২২ বলে ২২ রান বিদায় নেয়ার খানিক পর ফেরেন খুশদিল শাহও। তবে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান আফিফ। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে চার মেরে আবাহনীর শিরোপা নিশ্চিত করেন তানজিম সাকিব। আফিফ অপরাজিত থাকেন ৬০ রানে।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলতেই ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে শেখ জামাল। ০ রানে ফেরেন সাইফ হাসান। ৮ রানে খুশদিলকে উইকেট দিয়ে ফেরেন সৈকত আলী ও ৫ রানে বিদায় নেন রবিউল ইসলাম রবি। দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও তাইবুর রহমানকে নিয়ে জুটি গড়েন ফজলে মাহমুদ।
এই দুজনের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দিয়ে দলের স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করে শেখ জামাল। দেখে শুনে দুই ব্যাটারই হাঁটতে থাকেন হাফ সেঞ্চুরির পথে। তবে দলীয় রান ১০০ হওয়ার আগে ৭০ বলে ৪০ রান করে বিদায় নেন রাব্বি। এরপর ক্রিজে এসে তাইবুরকে নিয়ে জুটি গড়েন নুরুল হাসান।
তাদের ব্যাটে দেড়শোর পথে হাঁটলেও দলীয় ১৩৯ রানে তাইবুর ফেরেন হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর। ৮৫ বলে ৫৩ রান করে এই ব্যাটার বিদায় নিলেও পারভেজ রসুলকে নিয়ে দলের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যান নুরুল। এই জুটিতে দল পৌঁছে যায় ২০০'র ঘরে।
নুরুল তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ২২২ রানে ৩৭ বলে ৪২ রান করে পারভেজ ফিরে গেলেও জিয়াকে নিয়ে দলের জন্য রান তুলতে থাকেন নুরুল। দলকে ২৫০'র ঘরে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সেঞ্চুরির জন্য এগোতে থাকেন শেখ জামাল অধিনায়ক। যদিও শেষ পর্যন্ত ৮৯ রানে অপরাজিত থাকতে হয়েছে তাকে। শেষ বলে জিয়া রান আউট হলেও ৭ উইকেটে ২৮১ রানের পুঁজি পায় শেখ জামাল।
এইচজেএস