অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে বেশ বড়সড় ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। যৌন হয়রানির গুরুতর এক অভিযোগ ওঠে ক্রিকেটার দানুশকা গুণাথিলাকার বিরুদ্ধে। কেবল তাই নয়, একই সময়ে আরেক ক্রিকেটারের নামে সেখানকার এক ক্যাসিনোতে গিয়ে মারামারিতে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে। বিতর্কিত সেই কর্মকাণ্ডের রেশ এখন আর নেই। তবে এতদিন পর্যন্ত গুণাথিলাকার ওপর ধর্ষণ, মারধর এবং গলা চেপে ধরাসহ চারটি অভিযোগ ছিল। এর মধ্যে তিনটি অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ (১৮ মে) লঙ্কান ব্যাটারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে নেওয়া হয় সিডনির একটি আদালতে। তবে বাকি একটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর। এর আগে প্রথম রাউন্ড চলাকালে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান গুণাথিলাকা। কিন্তু তাকে দেশে না পাঠিয়ে দলের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে বিশ্বকাপ অভিযান শেষে গত বছরের নভেম্বরে টিম হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় গুণাথিলাকাকে। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি এবং জামিনের শর্তও শিথিল করা হয়।

দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, গুণাথিলাকা এবং ২৯ বছর বয়সি নরওয়েজিয়ান নারী একটি ‘ডেটিং অ্যাপ’-এর মাধ্যমে একে অপরের সংস্পর্শে এসেছিলেন। একে অপরের সঙ্গে দেখা করার পর, তারা উভয়েই সিডনিতে মহিলার বাসভবনে যান। সেখানে গুণাথিলা ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। 

সিডনির সংবাদমাধ্যম মর্নিং হেরাল্ড বলছে, ‘আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর হিউ বুডিন বলেছেন, লঙ্কান ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং সম্মতি ছাড়া যৌন সম্পর্ক করার তিনটি অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ 

এর আগে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরই গুণাথিলাকাকে নিষিদ্ধ করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। সেবারেই প্রথম নয়, এর আগে অন্তত তিনবার তাকে বিভিন্ন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে লঙ্কান বোর্ড নিষিদ্ধ করেছিল। শ্রীলঙ্কার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটারের অভিষেক হয় ২০১৫ সালে। এরপর জাতীয় দলের হয়ে তিনি ৮ টেস্ট, ৪৭ ওয়ানডে ও ৪৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।

এএইচএস