ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নাম শুবমান গিল। এই ওপেনারের মতোই সম্ভাবনা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন পৃথ্বী শ। কিন্তু খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি। অফ ফর্মের কারণে পৃথ্বী এখন অনেকটাই আড়ালে চলে গেছেন। সম্ভাবনাময়ী এই দুই তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়ে এবার ভিন্ন এক মন্তব্য করলেন বীরেন্দর শেবাগ। সাবেক ভারতীয় ওপেনার বলেছেন, একবার লম্বা সময় একসঙ্গে কাটালেও এই দুই তরুণ ক্রিকেটার নাকি শেবাগের সঙ্গে ক্রিকেট বিষয়ে কোনো কথা বলার আগ্রহই দেখাননি।

এবারের আইপিএলে টানা ব্যর্থতার পর একাদশ থেকে বাদ পড়েন পৃথ্বী। তবে ফেরেন দিল্লি ক্যাপিটালসের সবশেষ ম্যাচে। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে অবশ্য তিনি খেলেন ৩৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। মেধা আছে, কিন্তু তবুও ধারাবাহিক হতে পারছেন না কেন, পৃথ্বী-কে নিয়ে ক্রিকেটভিত্তিক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের এক আলোচনায় ওপরের ওই ঘটনার প্রসঙ্গ টানেন শেবাগ।

শেবাগ বলেন, ‘সে আমার সঙ্গে একটা বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছিল। শুবমান গিলও ছিল। দুজনের কেউই আমার সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে একবারও কথা বলেনি। আমরা সেখানে ৬ ঘণ্টা ছিলাম। কারও সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তো আপনাকেই এগিয়ে যেতে হবে।’

এ ব্যাপারে নিজের ক্যারিয়ারের একটি ঘটনাও বলেছেন শেবাগ, ‘আমি যখন দলে নতুন, সানি ভাইয়ের (সুনীল গাভাস্কার) সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। তাই আমি জন রাইটকে (তখনকার ভারত দলের কোচ) বলেছিলাম, “আমি এখনো নতুন খেলোয়াড়, জানি না সানি ভাই আমার সঙ্গে দেখা করবেন কি না। ফলে আপনাকেই এটির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।” ২০০৩-০৪ সালে রাইট তাই নৈশভোজের ব্যবস্থা করেছিলেন। আমি বলেছিলাম, আমার তখনকার ওপেনিং সঙ্গী আকাশ চোপড়াও আসবে, যাতে আমরা ওপেনিং নিয়ে কিছু আলোচনা করতে পারি।”’

এরপর শেবাগ যোগ করেন, ‘তিনি এসেছিলেন, আমাদের সঙ্গে খেয়েছিলেন। পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেটি কাজেও লেগেছিল আমাদের। চেষ্টাটা আপনার দিক থেকেই থাকতে হবে। সুনীল গাভাস্কার শেবাগ বা আকাশ চোপড়ার সঙ্গে কথা বলতে আসবেন না আগ বাড়িয়ে। আপনাকেই অনুরোধ করতে হবে। শ যদি এমন অনুরোধ করত, আমার ধারণা কেউ না কেউ (সহায়তা করত)। সে দিল্লির হয়ে খেলছে, সে দলের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা আমার বন্ধু। ক্রিকেটে আপনি যতই মেধাবী হন না কেন, যদি মানসিক দিক দিয়ে ওপরে না থাকেন, ফিট না থাকেন, তাহলে কিছুই হবে না।’

এইচজেএস