পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাবেক ও বর্তমান সভাপতির মাঝে বেশ কয়েকদিন ধরেই কথার লড়াই চলছে। সেই বিতর্কে মাঝেমধ্যে সদ্য সাবেক হওয়া ক্রিকেটাররাও তাল মেলান কিংবা ঘি ঢালেন। একটি ইস্যু শেষ হতে না হতেই শুরু হয় আরেকটি বিষয়ে সমালোচনা। সাবেক পিসিবি প্রধান রমিজ রাজা কিছুদিন আগে নাজাম শেঠী উত্থাপিত এশিয়া কাপের নিরপেক্ষ ভেন্যুর প্রস্তাব নিয়ে সমালোচনা করেন। এমনকি শেঠীর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। রমিজ এবার নতুন করে বাবর আজমদের প্রধান কোচ নিয়োগ নিয়ে চাঁচাছোলা মন্তব্য করেছেন।

সম্প্রতি পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে সাবেক নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্নকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে পিসিবির চুক্তি দুই বছরের। এর আগেও দলটির ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন ব্র্যাডবার্ন। তবে মূল সমস্যা তৈরি হয়েছে পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠীর স্থানীয় কোচদের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করা নিয়ে। যদিও গত বছরের ডিসেম্বরে ওই মন্তব্য করেছিলেন পিসিবির বর্তমান সভাপতি।

আরও পড়ুন >> পিসিবি চেয়ারম্যানের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রমিজ

সেই সময় শেঠীর বলেছিলেন, ‘স্থানীয় কোচরা পেশাদার নয়। পাকিস্তানে সুপারস্টার খ্যাতি থাকলেও, তারা ক্রিকেটারদের কোচিং করাতে পারে না। কিন্তু একজন বিদেশি কোচ কোনো স্বজনপ্রীতি করে না এবং তার কাছে সব খেলোয়াড়ই সমান। অন্যদিকে স্থানীয়দের মাঝে পক্ষপাতিত্ব করার একটা সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।’

সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে রমিজ রাজা বলছেন, ‘পাকিস্তানি কাউকে কোচ না বানানো অবিচার। তুমি যদি তাদের জাতীয় দলে নাইবা আনতে চাও, অন্তত প্রাপ্য সম্মান তো দেওয়া উচিত। তুমি তাদেরকে ইউজলেস এবং রাজনীতিপ্রবণ বলতে পারো না।’

এরপর নতুন কোচ ব্র্যাডবার্নের অভিজ্ঞতা কম উল্লেখ করে ৬০ বছর বয়সী এই ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘তারা (পিসিবি) একজনকে প্রধান কোচ বানিয়েছে, যার কোনো ক্রিকেট সার্কিটে অভিজ্ঞতাই নেই। অথচ তাকে পুরো দলের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হলো। কারণ তার গায়ের রঙ আমাদের চেয়ে ভিন্ন। তাই পিসিবি ভেবেছে তিনি দলের ভেতর কোনো রাজনীতি করবেন না। নিম্ন মানসিকতার লোকই কেবল এ ধরনের চিন্তা করতে পারে।’

আরও পড়ুন >> পাকিস্তানের কোচ হলেন ব্র্যাডবার্ন

প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ব্র্যাডবার্ন এর আগে ২০১৮-২০২০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ফিল্ডিং কোচ এবং স্কটল্যান্ডের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ফলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সামর্থ্য এবং চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানেন ব্র্যাডবার্ন। তার নিয়োগের পর নাজাম শেঠী জানিয়েছিলেন, ‘ব্র্যাডবার্নকে কোচের দায়িত্ব দিতে পেরে আমি আনন্দিত। তার কোচিংয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমাদের জাতীয় দল ও ক্রিকেট একাডেমির দায়িত্ব পালনের সময় তিনি এখানকার ক্রিকেট সংস্কৃতি ও দর্শন সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছেন। যার মাধ্যমে দলটিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আদর্শ বলে মনে হয়েছে তাকে।’

এএইচএস