ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ শুরু হতে এক মাসেরও কম সময় বাকি। তবে এখন থেকেই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে তোড়জোড় চালাচ্ছে স্বাগতিকরা। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে তার আগেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বেন স্টোকসের দল একটি টেস্ট খেলবে। কিন্তু তাদের ভাবাচ্ছে দলের অভিজ্ঞ ও টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের ইনজুরি। তার কুঁচকির চোট অতটা গুরুতর না হলেও, পুরো সিরিজে তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে অন্তত তিনটি ম্যাচ খেলতে চান অ্যান্ডারসন।

গত শুক্রবার (১২ মে) কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে সামারসেটের বিপক্ষে খেলার সময় ইনজুরিতে পড়েন তিনি। এ কারণে পরদিন তাকে আর মাঠে নামানো হয়নি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষের একমাত্র টেস্ট স্কোয়াডেও রাখা হয়েছে ৪০ বছর বয়সী এই পেসারকে। তবে তার মনোযোগ কেবলই অ্যাশেজে। আগামী ১ জুন লর্ডসে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সাদা পোশাকে মুখোমুখি হবে ম্যাককালামের দল।

এরপর আগামী ১৬ জুন বার্মিংহ্যাম টেস্ট দিয়ে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নামতে না পারলেও, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের আগে অ্যান্ডারসন সেরে উঠলে সেটি হবে ইংলিশদের প্লাস পয়েন্ট। তবে সব ম্যাচের খেলার ব্যাপারে অধিক আত্মবিশ্বাসী হতে চান না অভিজ্ঞ এই পেসার। ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করে অ্যান্ডারসনের চিন্তা অন্তত তিন ম্যাচে মাঠে নামা। 

নিজের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে এই পেসার বলছেন, ‌‘আমার মনে হয়, ৫টি ম্যাচ খেলার কথা বলাটা একটু বেশিই আশাবাদী মন্তব্য হয়ে যাবে। আমি মনে করি, তিনটি খেলতে পারলেই ভালো। শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, যে কোনো বোলারের জন্যই পাঁচটির মধ্যে তিনটির কথা বললে তা তুলনামূলক বাস্তবিক চিন্তা হবে। যদি চারটি হয়, তাহলে তো দারুণ ‘

তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টা হলো, আপনাকে ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে এগোতে হবে। আমরা যদি পাঁচ দিন মাঠে থেকে ২৫০ ওভার বোলিং করি, এরপর বিশ্রাম নিতে হবে। এছাড়া বৃষ্টি নামতে পারে, আমরা তাদের অল্পে গুটিয়ে দিতে পারি। আমরা কেউই জানি না (কী হতে যাচ্ছে)। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী ভাবতে হবে।’

অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া সবশেষ অ্যাশেজে ইংল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। বর্তমানে ম্যাককালাম-স্টোকস জুটিতে অন্যরকম ইংল্যান্ডের নৈপুণ্য দেখা মিলেছে। তাই তো এবার ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী স্বাগতিকরা। অন্যদিকে, অ্যাশেজ এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে এরই মাঝে ইংল্যান্ডে রওনা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ, মার্নাস ল্যাবুশেন এবং মার্কাস হ্যারিসরা।

এএইচএস