বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের বছরে দলে একের পর এক সংযোজন-বিয়োজন করছে পাকিস্তান। চলতি বছরেই তারা নতুন করে পিসিবির কমিটি গঠন করেছিল। এরপর নির্বাচক ও কোচিং প্যানেল সাজানো হয় নতুন আঙ্গিকে। দুই দিন আগেই ‘নির্বাচক কমিটির সচিব এবং বিশ্লেষণ ও দলীয় কৌশলের ব্যবস্থাপক’ হিসেবে হাসান চিমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার নিয়োগে অনেকেই মনে করেছিল, দল নির্বাচনে অধিনায়ক বাবর আজমের ভূমিকা কমে গেল কিনা! তবে সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক হারুন রশীদ। 

এর আগে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর লেখক এবং পিএসএলের দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিশ্লেষকের দায়িত্ব পালন করেন হাসান চিমা। তাকে জাতীয় দলের দায়িত্বে আনার যুক্তি হিসেবে পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি বলেন, ‘আমরা দল নির্বাচনে তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করতে চাই, এক্ষেত্রে হাসান একজন বিশেষজ্ঞ।’

আরও পড়ুন >> ‘বাবরের ক্রিকেট কিংবদন্তি হওয়ার সব রসদ আছে’

এরপরই পাকিস্তান ক্রিকেটে একটা গুঞ্জন শুরু হয়, বাবরের ভূমিকা কমে যাওয়া নিয়ে। স্বাভাবিকভাবে দলে কারা থাকবেন তা নিয়ে বেশ বড় প্রভাব থাকে দলীয় অধিনায়কের। কিন্তু নতুন করে পদ সৃষ্টি করে দলীয় কৌশলের ব্যবস্থাপক নিয়োগ করায় বাবর আগের মতো গুরুত্ব পাবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা দেখা দেয়।

তার জবাবে দল নির্বাচনে অধিনায়কের পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচক হারুন রশীদ জানিয়েছেন, ‘দল নির্বাচনে বাবরের মতের গুরুত্ব আগের মতোই দেওয়া হবে। অধিনায়ক নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ থাকবে। আগের মতোই তার মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এখন সে নির্বাচন নিয়ে সরাসরি কোচের সঙ্গে কথা বলতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ কোচের সঙ্গে কৌশলের ব্যবস্থাপক নিয়ে গড়া নির্বাচক কমিটি পাকিস্তান ক্রিকেটকে নতুন পথে নিতে সাহায্য করবে। তার নিয়োগে আমরা লাভবান হব।’

আরও পড়ুন >> সেঞ্চুরির রেকর্ডেও বাবর পেছনে ফেললেন সবাইকে

কয়েক মাস ধরে বাবরকে অধিনায়কত্বে রাখা নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছিল। সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই এই ক্লাসিক ব্যাটারকে নেতৃত্বে রাখতে অনীহার কথা জানান। তবে বাবরের পক্ষেও ছিলেন কেউ কেউ। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর ও সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার মিকি আর্থারের ইচ্ছায় বাবরকে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে হাসান চিমার নিয়োগ নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবি জানিয়েছে, ‘বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কাজ করা চিমা, আর্থার ও ব্র্যাডবার্নের উপস্থিতি আসন্ন সিরিজগুলোয় কৌশল নির্ধারণে, বেঞ্চের শক্তিমত্তা বাড়াতে, শাহিনস ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে জাতীয় দলে আসার সঠিক গতিপথ প্রদানে সহায়তা করবে।’

এএইচএস