সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে খেলতে নেমে দূর্বল ব্যাটিংয়ের কারণে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ ‌‘এ’ দল। তবে তাদেরকে পুনরায় ব্যাটিংয়ে না পাঠিয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল আবার ব্যাটে নামে। পাহাড়সম রান সংগ্রহের পর তারা ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুমিনুল হকের দলকে। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪৬১ রান। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রানে স্বাগতিকরা তৃতীয় দিন শেষ করেছে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনানুষ্ঠানিক চারদিনের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ ড্র হয়েছিল। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নেয় উইন্ডিজরা। শেষ টেস্টে তারা শুরু থেকে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে থাকে। প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করে জশুয়া ডি সিলভার দল করে ৪৪৫ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ মাত্র ২০৫ রানেই গুটিয়ে যায়। ফলে প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজরা লিড পায় ২৪০ রানের।

এর আগে আজ (১ জুন) ৭ উইকেটে ১৫৭ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। গতকাল ১৭ রানে অপরাজিত থাকা তানজিম হাসান সাকিব আর রানের চাকা বাড়াতে পারেননি। তবে দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ৩৮ রান করে দলকে দুইশোর ঘরে পৌঁছে দেন নাসুম হাসান। এছাড়া শরিফুল ইসলাম ১৩ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ভিরাস্যামি পারমল।

সেই সময় তারা অনায়াসেই ফলোঅনের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশকে ব্যাটে পাঠাতে পারত। কিন্তু বড় টার্গেটের ফাঁদে ফেলতে ফের ব্যাট হাতে নেয় সফরকারীরা। ক্যারিবিয়ানরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার তেজনারায়ণ চন্দরপলের ব্যাটে ভালো শুরু পায়। যদিও দ্রুত বিদায় নেয় অন্যপ্রান্তের তিন ব্যাটার। এরপর জশুয়া ডি সিলভাকে ৪৭ রানে ফেরান নাসুম।

১৮১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর চন্দরপল ও টেভিন ইমলাচ মিলে অবিচ্ছেদ্য ৩৯ রানের জুটি গড়েন। ৫ উইকেটে ২২০ রানে থাকাবস্থায় ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। ৮৩ রানে চন্দরপল এবং ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমলাচ। স্বাগতিকদের হয়ে সাইফ হাসান ৩টি ও নাসুম নিয়েছেন ২টি উইকেট।

৪৬১ রানের বড় রানতাড়ায় খেলতে নেমে বিনা উইকেটে ৪৭ রান তুলেছেন বাংলাদেশি দুই ওপেনার। মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ ও জাকির হাসান ১৪ রানে অপরাজিত আছেন। শেষ দিনে জিততে হলে তাদের আরও ৪১৪ রান করতে হবে।

এসএইচ/এএইচএস