চারদিন আগেই শেষ হয়েছে আইপিএলের ১৬তম আসর। এবারের আসর দিয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ পাঁচবার ট্রফি জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস। মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্টে ৭৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এসব ম্যাচ আরও বর্ণাঢ্য করে তুলেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরটিকে। ভবিষ্যতে টুর্নামেন্টের ম্যাচসংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল। একইসঙ্গে বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য শুভকামনা জানালেও, তার মতে কোন লিগ আইপিএলের ধারেকাছে আসতে পারবে না।

অর্থ ও জৌলুসের দিক থেকে আইপিএল বেশ জাকজমকপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই তারা অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের জন্য রোল মডেলের স্থান করে নিয়েছে। সেই কথাই ফুটে উঠল আইপিএল চেয়ারম্যানের কণ্ঠেও। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এমন দাপটের কারণে দীর্ঘমেয়াদে চুক্তির কথাও এর আগে জানা গিয়েছিল। ধীরে ধীরে হয়তো টুর্নামেন্ট আয়োজক দেশগুলো সেই পথে হাঁটছে!

আইপিএলের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল বলছেন, ‘আমরা অন্য কোনো লিগকে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছি না। এমন কি অন্য কোনো লিগ আইপিএলের ধারেকাছেও আসে না। যেসব দেশ নিজেদের টি-২০ লিগ শুরু করেছে, তাদের জন্য আমাদের শুভেচ্ছা রইল। তবে অন্য কোনো লিগ আইপিএলের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে আমি মনে করি না।’

রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যদি আরও বড় উইন্ডো পাওয়া যায়, তবে অদূর ভবিষ্যতে আইপিএল আরও বড় রূপ নিতে পারে। এই মুহর্তে ১০ দলের টুর্নামেন্টে ফাইনাল এবং প্লে-অফ মিলিয়ে মোট ৭৪টি ম্যাচ খেলা হয়। ভবিষ্যতে ১০ দলের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেই ৯৪টি ম্যাচ আয়োজিত হতে পারে। অর্থাৎ, বর্তমান ফরম্যাটের চেয়ে আরও ২০টি ম্যাচ বেশি খেলা হতে পারে আইপিএলে।

২০০৮ সালে প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর হিসেবে যাত্রা শুরু করে আইপিএল। এরপর বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ বেশকিছু দেশও ঘরোয়া টি-২০ লিগ চালু করে। যদিও ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, পুরস্কার মূল্য অথবা ব্র্যান্ড ভ্যালুতে আইপিএলের ধারেকাছেও নেই এসব লিগ। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতও বহু অর্থ খরচ করে টি-২০ লিগ শুরু করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং আমেরিকাও চালু করেছে নতুন টি-২০ টুর্নামেন্ট।

স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটারদের সামনে বিকল্প বাড়ছে কোন টুর্নামেন্টে তারা অংশ নেবেন, তা বেছে নেওয়ার। সেই নিরিখে আইপিএলের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে নিজেদের ব্র্যান্ড ভ্যালু বজায় রাখা। আইপিএল চেয়ারম্যান অবশ্য সব আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিলেন। তার দাবি, আইপিএলে ক্রিকেটাররা যে পরিমাণ অর্থ রোজগার করেন, তা তাদের জীবন বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

এএইচএস